রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সাবেক অলিম্পিয়ান অ্যালিনা কাবায়েভার সম্পর্ক নিয়ে গুঞ্জন নতুন নয়। সম্প্রতি দুজনের সম্পর্ককে ঘিরে নতুন তথ্য সামনে এসেছে। দাবি করা হচ্ছে, পুতিন এবং কাবায়েভারের দুই ছেলে আছে; যাদের একজন ইভান, যার বয়স নয় বছর, ছোটটি নাম বলা হচ্ছে ভ্লাদিমির জুনিয়র, তার বয়স পাঁচ বছর।
দোসিয়ের সেন্টার নামের একটি সংস্থার বরাতে যুক্তরাষ্ট্রের সাময়িকী ফোর্বস এসব তথ্য জানিয়েছে।
তবে এক দশকের বেশি সময় ধরে এমন কোনো সম্পর্কে জড়িয়ে থাকার কথা নাকচ করে দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট পুতিন ও জিমন্যাস্ট কাবায়েভা দুজনই।
ডোসিয়ার সেন্টার নামের ওই রুশ অনুসন্ধানী সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন বলছে, পুতিন-কাবায়েভার দুই সন্তান হলো ইভান পুতিন ও ভ্লাদিমির পুতিন জুনিয়র। ইভানের জন্ম ২০১৫ সালে এবং পুতিন জুনিয়রের জন্ম ২০১৯ সালে। সংবাদ প্রতিষ্ঠানটি তাদের এ তথ্যের উৎস হিসেবে একাধিক অজ্ঞাতনামা সূত্রের বরাত দিয়েছে। এসব সূত্র বলেছে, তারা নিয়মিতভাবেই পুতিনের ওই দুই সন্তানকে দেখে থাকে।
পুতিন (৭১) তার সাবেক স্ত্রী লুদমিলা পুতিনের গর্ভে দুই কন্যাসন্তান জন্ম নেওয়ার কথা প্রকাশ্যে স্বীকার করে থাকেন। ১৯৮৩ সালে লুদমিলার সঙ্গে বৈবাহিক বন্ধনে আবদ্ধ হন পুতিন। ক্রেমলিনের তথ্য অনুযায়ী, তাদের ওই সন্তান হলেন মারিয়া (৩৯) ও ক্যাটরিনা (৩৮)।
ডোসিয়ার সেন্টারের দাবি, লুদমিলার সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ চূড়ান্ত হওয়ার ছয় বছর আগে ২০০৮ সালের শুরুর দিকে অলিম্পিক জিমন্যাস্ট কাবায়েভার সঙ্গে পুতিনের সম্পর্ক শুরু হয়।
প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, অন্তঃসত্ত্বা কাবায়েভা (৪১) ইভানকে জন্ম দিতে সুইজারল্যান্ডের লুগানোর একটি ক্লিনিকে গিয়েছিলেন। আর ভ্লাদিমির জুনিয়রকে তিনি জন্ম দেন রাশিয়ার মস্কোয়।
ডোসিয়ার সেন্টার বলেছে, ইভান ও ভ্লাদিমির জুনিয়র দুজনই মস্কোর উত্তর-পশ্চিমে পুতিনের একটি বাড়িতে থাকে। তবে সমবয়সী অন্য শিশুদের সঙ্গে তাদের কোনো ওঠাবসা নেই। গান, সাঁতার ও জিমন্যাস্টিকস শেখার জন্য তাদের রয়েছে ব্যক্তিগত প্রশিক্ষক।
জিমন্যাস্টিক প্রতিযোগিতায় ইতিমধ্যে ইভান অংশগ্রহণ করেছে বলে জানা যায়। বাবা পুতিনের সঙ্গে মাঝেমধ্যে হকিও খেলে সে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই দুই সন্তানের ব্যক্তিগত ইংরেজি শিক্ষকের পেছনে মাসে পুতিন পরিবারের খরচ হয় ৮ হাজার ৫০০ মার্কিন ডলার (টাকার অঙ্কে ১০ লাখ ৩ হাজার)। এ তথ্যের প্রমাণ হিসেবে ডোসিয়ার সেন্টার অনলাইনে দেওয়া একটি বিজ্ঞাপনের কথা উল্লেখ করেছে। বিজ্ঞাপনে ইঙ্গিত পাওয়া যায়, শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে পুতিন পরিবার দক্ষিণ আফ্রিকার পাসপোর্টধারী আবেদনকারীদের অগ্রাধিকার দিয়েছে। বিজ্ঞাপনে এও উল্লেখ করা হয়, পরিবারটি (ইভান ও ভ্লাদিমির জুনিয়র) ‘বিচ্ছিন্নভাবে বসবাস’ করে।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল