মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী তথা মুসলমানদের নির্মূল অভিযানে শুরু হওয়া মানবাধিকার লঙ্ঘনের সপ্তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ২৪ আগস্ট মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্তোনি জে ব্লিঙ্কেন এক বিবৃতিতে বলেছেন, মিয়ানমারের চলমান মানবিক সংকট এবং মানবাধিকার লঙ্ঘন দেশটির অনেক জাতিগত ও ধর্মীয় সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর সদস্য, বিশেষ করে রোহিঙ্গাদের দুর্দশাকে আরও বাড়িয়েছে। বর্বরোচিত আক্রমণ তথা রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে পরিচালিত জেনোসাইড থেকে বাঁচার জন্য বসতভিটা ত্যাগকারী মানুষদের আশ্রয় প্রদানকারী দেশসমূহের পাশে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সেজন্যই বাংলাদেশসহ যারা এই সংকটে নিপতিত মানুষকে জীবন রক্ষায় সহায়তা দিচ্ছে, সেসব দেশকে সর্বাত্মক সহায়তা প্রদানেও অঙ্গীকারাবদ্ধ যুক্তরাষ্ট্র।
এতে আরও বলা হয়, গত ৭ বছরে মানবিক সহায়তা হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র ২ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার প্রদান করেছে বাংলাদেশ এবং আশেপাশের দেশসমূহে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিচালনায়। ইতোমধ্যেই রোহিঙ্গা এবং সকল বেসামরিক নাগরিকের বিরুদ্ধে সংঘটিত নৃশংসতা ও নির্যাতনের ব্যাপক নথিপত্রও আমরা সংগ্রহ করেছি।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী উল্লেখ করেছেন, একটি গণতান্ত্রিক, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং শান্তিপূর্ণ ভবিষ্যতের জন্য মিয়ানমার জনগণের আকাঙ্ক্ষার প্রতি আমাদের সমর্থন অটুট রয়েছে। একইভাবে বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষায় সকল পক্ষের প্রতি আহ্বানও অব্যাহত থাকবে।
বিডি প্রতিদিন/একেএ