যুক্তরাষ্ট্রের সকল কনস্যুলেটে এনআইডি কার্ড ইস্যু এবং প্রবাস থেকেই ভোট প্রদানের ব্যবস্থাসহ ১৩ দফা উপস্থাপনের পর তা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহম্মদ ইউনূস সমীপে প্রেরণের জন্যে ১৮ সেপ্টেম্বর বুধবার নিউইয়র্কে বাংলাদেশের কন্সাল জেনারেল মো. নাজমুল হুদাকে প্রদান করা হয়।
‘প্রবাসী বাংলাদেশী ফোরাম’ নামক একটি সংগঠনের ব্যানারে এসব দাবির আলোকে ৮ সেপ্টেম্বর জ্যাকসন হাইটসে একটি সেমিনার হয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় অন্তর্বর্তী সরকার সমীপে দাবিসমূহ প্রেরণের জন্যে ফোরামের আহবায়ক ফখরুল আলমের নেতৃত্বে একদল প্রবাসী কন্স্যুলেটে গিয়ে কন্সাল জেনারেলকে তা হস্তান্তর করেন। এ সময় তার সাথে ছিলেন ব্রঙ্কস কম্যুনিটি বোর্ডে ইমিগ্রেশন বিষয়ক কমিটির চেয়ারপার্সন শাহজাহান শেখ, শিক্ষাবিদ ড. মহসিন পাটোয়ারি, কম্যুনিটি অ্যাক্টিভিস্ট ডা. ওয়াদুদ ভূইয়া, আহসান হাবিব, কাজী আজহারুল হক মিলন প্রমুখ। ডেপুটি কন্সাল জেনারেল এস এম নাজমুল হাসানও সেখানে ছিলেন।
দাবিগুলো হলো: ১. জাতীয় সংসদে ও রাষ্ট্র পরিচালনায় প্রবাসীদের অংশীদারিত্ব নিশ্চিত করা, ২. নিউইয়র্ক-ঢাকা-নিউইয়র্ক রুটে বিমানের সরাসরি ফ্লাইট চালু, ৩. নিউইয়র্কসহ সারাবিশ্বের বাংলাদেশ কনস্যুলেট ও দূতাবাসের মাধ্যমে জাতীয় পরিচয়পত্র (ন্যাশনাল আইডি কার্ড) চালু করা, যা ইতিমধ্যে ব্রিটেনে চালু হয়েছে, ৪. নিউইয়র্কসহ সারাবিশ্বের বাংলাদেশ কনস্যুলেট ও দূতাবাসের মাধ্যমে প্রবাসীদের ভোট প্রদানের ব্যবস্থা করা, ৫. চুক্তি মোতাবেক ক্রয় করা জমি, প্লট, অ্যাপার্টমেন্ট সহজে সংশ্লিষ্ট প্রবাসীর কাছে বুঝিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা, ৬. ঢাকাস্থ হজরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রবাসীদের হয়রানি বন্ধ করা, ৭. দ্বৈত নাগরিকত্বের ক্ষেত্রে হয়রানি বন্ধ করা, ৮. বাংলাদেশের অফিস-আদালতে লাল ফিতার দৌরাত্ম্য বন্ধ করা ও প্রবাসীদের জন্য ঢাকায় চালু করা ‘ওয়ান স্টপ সার্ভিস’ কার্যকর করা, ৯. প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের অর্থে গড়ে ওঠা অর্থনীতির লক্ষ কোটি টাকা বিদেশে পাচার বন্ধ করাসহ পাচারকারীদের বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা, ১০. বাংলাদেশ সফরকালে প্রবাসীদের জানমালের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা, ১১. বাংলাদেশে প্রবাসীদের ঘর-বাড়ি ও স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি রক্ষার ব্যবস্থা করা, ১২. কনস্যুলেট সেবা বৃদ্ধি করে প্রবাসীদের পাসপোর্ট নবায়ন, জন্মসনদ, মৃত্যুসনদ, দেশের সম্পত্তি হস্তান্তরে পাওয়ার অব অ্যাটর্নি প্রদানের মতো কাজগুলো সহজ করা এবং ১৩. যেকোনো প্রবাসী বাংলাদেশির মরদেহ বিনা খরচে দেশে নেওয়ার ব্যবস্থা করা।
দাবিনামা গ্রহণের পর কন্সাল জেনারেল সকলকে অবহিত করেন যে, বিদ্যমান রীতি অনুযায়ী স্মারকলিপিটি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টার দফতরে পাঠানো হবে।
বিডি প্রতিদিন/এএম