পর্ব-২
স্পার্টা ও মাইসেনিয়া ছিল তন্মধ্যে অন্যতম। স্পার্টার রাজা ছিলেন মেনেলায়েস, আর মাইসেনিয়ার রাজা আগামেনন। মেনেলায়েস ও আগামেনন সম্পর্কে ছিলেন সহোদর ভাই। একাধিক স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও রাজা মেনেলায়েস হেলেনকে রানি হিসেবে পেতে উন্মত্ত হয়ে ওঠেন। প্রায় ৬০ জন প্রহরী নিয়ে হাজির হন দেবরাজ জিউসের রাজপ্রাসাদে। কোনো কোনো বর্ণনায়, ছোট ভাই মেনেলায়েসের জন্য বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে গিয়েছিলেন আগামেনন।
রাজার অনুরোধ আর বিনয়ে বিগলিত হয়ে মেয়েকে মেনেলায়েসের সঙ্গে বিয়ে দিতে রাজি হয়ে যান দেবরাজ জিউস। কেননা বিয়ের আগেই থেসিয়াস কর্তৃক কুমারিত্ব হারিয়ে ছিলেন হেলেন! আসি থিসিয়াসের ঘটনায়। থেসিয়াস ছিলেন পৌরাণিক রাজা এবং এথেন্সের প্রতিষ্ঠাতা-নায়ক। ওদিকে হেলেনের সৌন্দর্য শিগগিরই কিংবদন্তি হয়ে ওঠে এবং অনেক পুরুষ তাকে অধিকার করতে বেপরোয়া হয়ে ওঠে। থেসিয়াস তাকে অপহরণ করে ধর্ষণ করে এবং তারপর হেডিস থেকে ফসল বা নিসর্গের দেবী ডিমিটারের কন্যা তারুণ্য ও বসন্তের উদারতার দেবী পার্সেফোনকে উদ্ধার করার জন্য একটি অভিযানে চলে যায়। তার অনুপস্থিতিতে হেলেনকে উদ্ধার করে স্পার্টাতে বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাকে ঘিরে পাণিপ্রার্থী হিসেবে অসংখ্য বাহাদুর যোদ্ধা, রাজপুত্র, রাজা, ধনাঢ্য ব্যক্তি, নামজাদা মহাবীর, নাইট ভিড় জমায়। প্রতিজ্ঞা করে, হেলেন যাকে পছন্দ করবে, তার সঙ্গেই তার বিয়ে হবে। তবে ভবিষ্যতে হেলেন কোনো সংকটে পড়লে তারা সম্মিলিতভাবে হেলেনকে সাহায্য করবে। প্রশ্ন হলো, থেসিস কেন হেলেনকে অপহরণ করেছিল? কারণ হলো- দুজন এথেনিয়ান, থেসিয়াস এবং পেরিথস ভেবেছিলেন যে যেহেতু তারা দেবতার পুত্র, তাদের ঐশ্বরিক স্ত্রী থাকা উচিত। এভাবে তারা জিউসের দুই কন্যাকে অপহরণ করতে একে অপরকে সাহায্য করার প্রতিশ্রুতি দেয়। থেসিয়াস হেলেনকে বেছে নিয়েছিলেন এবং পেরিথাস হেডিসের স্ত্রী পার্সেফোনকে বিয়ে করার প্রতিজ্ঞা করেছিল।
শুরু হয় নতুন অধ্যায়ের। মেনেলায়েস বয়সে ৪০ বছরের বড় হলেও নিজের জীবনের চেয়েও বেশি ভালোবাসতেন হেলেনকে। হেলেনের সেবায় নিযুক্ত করা হয় প্রায় ৮০ জন দাসী। নানা উপায়ে হেলেনের মুখে হাসি ফোটাতে চাইলেও কালেভদ্রে হাসি ফুটতো রানি হেলেনের মুখে। কখনো ফুল, কখনো বা দামি পোশাক নিয়ে হাজির হতেন হেলেনের সামনে। নানা আয়োজনে হেলেনকে ভালোবাসতে চাইলেও হেলেন মোটেই কাছে টানতেন না মেনেলায়েসকে। আরও উপযুক্ত ভিন্ন কাউকে পাওয়ার আশায় উদাসীন থাকতেন হেলেন। আর নিজেকে সব সময় আড়ালে রাখতেই পছন্দ করতেন তিনি।
এ সময় ট্রয়ের যুবরাজ প্যারিসের আবির্ভাব ঘটে ইতিহাসের রঙ্গমঞ্চে। মিথোলজির সুবিখ্যাত এজিয়ান সাগরের ওপারের এক নগরী ছিল ট্রয়। ইতিহাসের ধ্বংসপ্রাপ্ত নগরীগুলোর মধ্যে যা অন্যতম। গ্রিক ভাষায় ট্রয়কে বলা হয় ‘ত্রইয়া’ বা ‘ইলিয়ন’। লাতিন ভাষায় ‘ত্রুইয়া’ বা ‘ইলিয়াম’। হিত্তীয় ভাষায় ‘উইলুসা’। ট্রয়ের তুর্কি নাম ‘ত্রুভা’ বা ‘ত্রয়া’। হোমারের ইলিয়াডে যে ট্রয়ের উল্লেখ রয়েছে সেটিকেই এখন ট্রয় নামে আখ্যায়িত করা হয়। এর অবস্থান আনাতোলিয়া অঞ্চলের হিসারলিক নামক স্থানে। অর্থাৎ আধুনিক হিসারলিক-ই সেই প্রাচীন ট্রয় নগরী। এর ভৌগোলিক অবস্থান তুরস্কের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের কানাক্কাল প্রদেশের সমুদ্র সৈকতের নিকটে এবং আইডা পর্বতের নিচে দার্দানেলিসের দক্ষিণ পশ্চিমে। সুদৃঢ় প্রাচীরবেষ্টিত চমৎকার নগরী ট্রয়ের ব্যাসার্ধ ছিল ৭৫০ থেকে ২০০০ মিটার। প্রাচীনকালে এ ধরনের শহরে শুধু রাজা ও তার অমাত্যরাই বসবাস করতেন। নগরীর চার পাশে থাকত প্রজারা। ট্রয়ের রাজা প্রিয়াম এবং রানি হেকুবার দ্বিতীয় সন্তান প্যারিস। দ্বিতীয় পুত্রের জন্মের পূর্বে হেকুবা স্বপ্নে দেখেন, তিনি পৃথিবীতে একটি জ্বলন্ত অগ্নিশিখা বয়ে আনতে যাচ্ছেন, যে শিখা জ্বালিয়ে দেবে সমগ্র ট্রয় নগরী। দুর্ভাগ্যপীড়িত করবে গোটা সাম্রাজ্যকে। রাজ জ্যোতিষী পরামর্শ দেন শিশু প্যারিসকে হত্যা করার। কিন্তু পিতা প্রিয়াম শিশুটিকে হত্যা করতে কুণ্ঠিত বোধ করেন। বিকল্প হিসেবে প্যারিসকে রেখে আসেন আইডা পর্বতে। সেখানে এক রাখাল তাকে কুড়িয়ে নেয়, আর নিজ সন্তানের মতোই লালন-পালন করে বড় করে তুলতে থাকে। বৃদ্ধ রাখাল আকর্ষণীয় ও সুদর্শন এই বালকের নাম রাখেন ‘প্যারিস’।
পুরাণ মতে, প্যারিস যখন টগবগে যুবক, মার্মিডনসের রাজা পেলেউস ও সমুদ্রদেবী থেটিসের বিয়েতে যুদ্ধদেবী এরিস ছাড়া সবাই আমন্ত্রণ পান। দেবতাদের পিতা জিউস, তার স্ত্রী হেরা, জ্ঞানের দেবী অ্যাথেনা, প্রেম ও সৌন্দর্যের দেবী আফ্রোদিতি বিয়েতে উপস্থিত হন। মূলত একটি সংকট সৃষ্টি করার জন্যই যুদ্ধদেবী এরিস একটি সোনালি আপেল নিক্ষেপ করেন ভোজন টেবিলের ওপর। আপেলের গায়ে লেখা ছিল ‘সুন্দরীতমার জন্য ’(ঋড়ৎ ঃযব ঋধরৎবংঃ)। এই আপেলের আরেক নাম ‘অঢ়ঢ়ষব ড়ভ ফরংপড়ৎফ’ বা ‘কলহের আপেল’। এই আপেলকে ঘিরেই সব সংকটের উদ্ভব। উপস্থিত দেবীরা সবাই নিজেদেরকে সেরা সুন্দরী বলে দাবি করেন। তাই তিনজনের প্রত্যেকেই আপেলের হকদার বলে দাবি করে বসেন। প্রতিযোগী দেবী হেরা, অ্যাথেনা ও আফ্রোদিতি। সৌন্দর্য আর শ্রেষ্ঠত্বের গৌরব কেউ ছাড়তে সম্মত নয়। তিনজন নারীই দেবরাজ জিউসের ঘনিষ্ঠ হওয়ায় তাদের কলহ মেটাতে বিচারের দায়িত্ব গিয়ে পড়ে প্যারিসের কাঁধে। জিউস তার বার্তাদূত আইরিসকে বললেন, আপেলটি আইডা পর্বতের রাখাল প্যারিসকে দিতে। তার বিবেচনায় যে সুন্দরী ও শ্রেষ্ঠা, তাকেই যেন আপেলটি হস্তান্তর করা হয়।
সে সময় প্যারিস মেষ চরাচ্ছে পর্বতে। আইরিসসহ তিন দেবী আবির্ভূত হলেন প্যারিসের সামনে। হেরা বললেন, ‘আমি তোমাকে সবচেয়ে ধনী এবং সবচেয়ে ক্ষমতাশালী রাজা বানিয়ে দেব।’ অ্যাথেনা দিতে চাইলেন ‘জ্ঞান, খ্যাতি আর যুদ্ধ জয়ের স্বর্গীয় ক্ষমতা’। মিষ্টি হেসে আফ্রোদিতি বললেন, ‘আমি তোমাকে দেব পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দরী নারী, যে তোমার স্ত্রী হবে।’ সিদ্ধান্ত নিতে দ্বিধা করেনি প্যারিস; তার চাই সুন্দরী রমণী। ফলশ্রুতিতে আপেল পেল আফ্রোদিতি। সন্তুষ্ট দেবী আফ্রোদিতি তার জন্য বরাদ্দ করল হেলেনকে আর ক্ষুব্ধ দেবী হেরা উদ্ভব ঘটালো সংকটের। দেবী অ্যাথেনা ও হেরার কাছ থেকে নিজ পরিচয় পেয়ে প্যারিস ফিরে গেল পিতা প্রিয়াম ও মাতা হেকুবার কাছে এবং দৈব-কূটচালে রাজপুত্র হিসেবে আবির্ভূত হলেন রাজপ্রাসাদে।
আফ্রোদিতি-প্রতিশ্রুত সুন্দরীর সন্ধানে প্যারিস সাগর পাড়ি দেবে। বোন ক্যাসান্দ্রা তাকে সতর্ক করল এবং অনুনয় করে বলল, ‘ভাই, তোমার এ যাত্রা ট্রোজানদের জন্য দুঃখ বয়ে আনবে।’ ক্যাসান্দ্রা ভবিষ্যৎদ্রষ্টা। এই বরের সঙ্গে তার ওপর ছিল অভিশাপ- ‘তুমি ভবিষ্যদ্বাণী বলবে, তবে তা কেউ বিশ্বাস করবে না।’ এখানে ক্যাসান্দ্রা বিষয়ে খানিকটা আলোকপাত করা যাক। ক্যাসান্দ্রা ছিলেন রাজা প্রিয়াম এবং ট্রয়ের রানি হেকুবার কন্যা। তার বড় ভাই ছিলেন হেক্টর, ট্রয়যুদ্ধের মহানায়ক। সংগীত, নৃত্য, সত্য, ভবিষ্যদ্বাণী, নিরাময়, রোগ, সূর্য, তীরন্দাজ, আলো ও কবিতার দেবতা হলেন অ্যাপোলো। তিনি ক্যাসান্দ্রার রূপে মুগ্ধ হন। দৈব বরদানের বিনিময়ে ক্যাসান্দ্রার সঙ্গে প্রণয়ের ইচ্ছা ব্যক্ত করেন। ক্যাসান্দ্রা বরদান হিসেবে ভবিষ্যৎ দেখার ক্ষমতা দাবি করেন। অ্যাপোলো বললেন, তথাস্তু। পলকেই ভবিষ্যৎদ্রষ্টা বনে যায় ক্যাসান্দ্রা। কিন্তু বর পাওয়ার পর তিনি প্রণয় প্রস্তাবে অসম্মতি জানান। ঐশ্বরিক বর রদযোগ্য নয়, নয় প্রত্যাহার যোগ্য। তাই অ্যাপোলো দৈববরের সঙ্গে জুড়ে দিলেন এক দৈব অভিশাপ, “তুমি ভবিষ্যৎ দেখবে, কিন্তু তোমার ভবিষ্যদ্বাণী কেউ বিশ্বাস করবে না।” ক্যাসান্দ্রার ভবিষ্যদ্বাণী ঠিকই নিজের ভাইও বিশ্বাস করলো না।
বোনের বারণ অগ্রাহ্য করে খ্রিস্টপূর্ব ১১৯৪ সালে ট্রয়ের রাজপুত্র প্যারিস ও বড় ভাই হেক্টর ব্যবসা-বাণিজ্য সংক্রান্ত চুক্তি করার জন্য স্পার্টায় আসেন। প্রাচীন গ্রিস ও ট্রয় (বর্তমান তুরস্ক) ছিল পাশাপাশি দুই রাষ্ট্র। তবে এর মাঝে ছিল বিখ্যাত এজিয়ান সাগর। এটি মূলত ভূমধ্যসাগরের সম্প্রসারিত উপসাগর। স্পার্টার রাজা মেনেলায়েস দুই রাজপুত্রকে সাদর সম্ভাষণ জানিয়ে বরণ করে নেন। তাদের আগমনে রাজ্যকে বর্ণিল সাজে সাজানো হয়। যুবরাজদের সম্মানে নৈশভোজেরও আয়োজন করা হয়। আর এই নৈশভোজের সময়ই যুবরাজ প্যারিসের সঙ্গে পরিচয় ঘটে অনিন্দ্যসুন্দরী হেলেনের। মেনেলায়েস নিজেই স্ত্রী হেলেনকে সবার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন। কিন্তু কে জানত, এই পরিচয়ই জীবনের সবচেয়ে বড় ভুলে পরিণত হবে মেনেলায়েসের। ব্যবসায়িক আলোচনার জন্য স্পার্টায় প্রায় ২০ দিন অবস্থান করেন প্যারিস ও হেক্টর। বড় ভাই হওয়ার সুবাদে বাণিজ্য-সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো হেক্টরের ওপরই ন্যস্ত থাকত। রাজা মেনেলায়েস আর হেক্টর বাণিজ্য-সংক্রান্ত ব্যস্ত সময় কাটাতেন আর প্যারিস গোপনে দেখা করতেন হেলেনের সঙ্গে। প্রথম দেখাতেই হেলেনের রূপ বিমোহিত করেছিল প্যারিসকে। হেলেনের প্রেমে উন্মত্ত ট্রয়রাজপুত্র প্যারিসও ছিলেন সুপুরুষ। প্যারিসের চেহারা, শরীরী গঠন, সব কিছুই আকর্ষণ করতে শুরু করে হেলেনকে। অল্প সময়ের মধ্যেই হেলেনও প্যারিসের প্রতি প্রচণ্ড দুর্বল হয়ে পড়েন।
এদিকে হেক্টরও বাণিজ্য-সংক্রান্ত কাজ প্রায় শেষ করে এনেছেন। এবার বিদায়ের পালা। ভোর হলেই তারা রওনা দেবেন ট্রয়ের উদ্দেশে। রাজা মেনেলায়েস আপ্যায়নেরও কোনো কমতি রাখেননি। রাজকীয় খাদ্য-পানীয় আয়োজনের পাশাপাশি ছিল সুন্দরী রমণীদের আতিথেয়তা। নর-নারী, প্রহরী-রাজা, হেক্টর ও ট্রয়ের অতিথিরা যখন আমোদ-প্রমোদ আর নাচ-গানে বুঁদ, প্যারিস তখন চুপিসারে চলে গেলেন হেলেনের ঘরে। হেলেনও যেন প্যারিসের অপেক্ষায়ই প্রহর গুনছিলেন। প্রিয় মানুষকে কাছে পেয়ে দুজনেই আবেগাপ্লুত হয়ে পড়লেন। অন্তরঙ্গ সময় কাটানোর পর হেলেনকে নিজের সঙ্গে নিয়ে যেতে চাইলেন প্যারিস। ভয়াবহ বিপদের আশঙ্কা থাকলেও প্রেমের টানে হেলেনও রাজি হলেন যেতে। হেক্টর এসবের কিছুই জানতেন না। যথারীতি অতিথিদের বিদায় জানাল স্পার্টাবাসী। তখনো কেউ জানত না তাদের প্রিয় রানিকে সঙ্গে করে নিয়ে যাচ্ছেন ট্রয়ের রাজকুমার প্যারিস। এজিয়ান সাগরের মাঝপথে এসে প্যারিস হেক্টরকে বলেন, হেলেন তাদের সঙ্গে এসেছেন। প্যারিসের কথা শুনে হতবাক হেক্টর! রাগে, ক্ষোভে জাহাজ স্পার্টার দিকে ঘুরানোর নির্দেশ দিলেন নাবিকদের। কিন্তু প্যারিসের অনুরোধ আর কান্নায় হেক্টর নিজের মত পরিবর্তনে বাধ্য হন। এদিকে স্পার্টায় ছড়িয়ে পড়ে প্যারিস হেলেনকে অপহরণ করে নিয়ে গেছেন ট্রয়ে।
রাজা মেনেলায়েস হেলেনকে হারিয়ে ক্রুদ্ধ ও পাগলপ্রায়। রাজ্যের সম্মান ফিরিয়ে আনতে মাইসেনিয়ার রাজা, ভাই আগামেননের সাহায্য প্রার্থনা করেন তিনি। সে বছরই খ্রিষ্টপূর্ব ১১৯৪ সালে এক হাজারেরও বেশি জাহাজে করে বিশাল সেনাবাহিনী যাত্রা করে ট্রয়ের উদ্দেশে। সেনাপতির দায়িত্ব নিজ হাতেই রাখেন আগামেনন। পাশাপাশি যুদ্ধে যুক্ত করা হয় গ্রিসের বীরযোদ্ধা একিলিসকেও- যার বিবরণ পরবর্তীতে দেওয়া হবে। আগামেননের কাছে ভাইয়ের স্ত্রী হেলেনকে উদ্ধার করা যতটা না গুরুত্বপূর্ণ ছিল, তার চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিল ট্রয়ের ওপর কর্তৃত্ব স্থাপন। এ কারণেই একিলিস আগামেননের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করতেন। তাঁকে রাজা বলে স্বীকার করতেও অস্বীকৃতি জানান।
[চলবে]