শুক্রবার, ২১ জানুয়ারি, ২০২২ ০০:০০ টা

বিশ্বসেরা মুসলিম ফুটবল তারকা

সাইফ ইমন

বিশ্বসেরা মুসলিম ফুটবল তারকা

ফুটবল বিশ্বে মুসলমান ফুটবলারদের দাপট বেশ ভালোভাবেই দেখা যাচ্ছে। দিন দিন মুসলিম ফুটবলারের সংখ্যা বাড়ার পাশাপাশি নিজেদের বিকশিতও করছেন সমানতালে। ফুটবল জগতে শত শত মুসলিম ফুটবলার আছেন তাতে কোনো সন্দেহ নেই। ইউরোপে যত বড় বড় লিগ আছে তাতেই খেলেন তাঁরা। এ তালিকায় রবিন ভ্যান পার্সি, থিয়েরি অঁরি, ইব্রাহিমোভিচের মতো মুসলিম ফুটবলারের নাম থাকলেও নিশ্চিত করেননি তাঁরা ইসলাম ধর্মাবলম্বী। বিশ্বজুড়ে সব খানে মুসলমান ফুটবলার হিসেবে দ্যুতি ছড়াচ্ছেন...

 

 

করিম বেনজেমা

বর্তমানে ফুটবল বিশ্বের অন্যতম সেরা স্ট্রাইকার করিম বেনজেমা। জনপ্রিয়তায় শীর্ষে অবস্থান করছেন তিনি। তবে জনপ্রিয়তার পাশাপাশি বিতর্কও আছে এই প্রভাবশালী তারকার...

 

পুরো নাম করিম মোস্তফা বেনজেমা। বর্তমান ফুটবল বিশ্বের অন্যতম সেরা স্ট্রাইকার তিনি। তাঁর জন্ম ১৯ ডিসেম্বর ১৯৮৭ সালে। ফরাসি এই ফুটবল খেলোয়াড় জীবনে অনেক উত্থান-পতন দেখেছেন। তাঁকে ঘিরে বিতর্কও ছিল বিস্তর। তিনি রিয়াল মাদ্রিদের আক্রমণভাগের সেরা খেলোয়াড়। ১৯৯৫-৯৬ মৌসুমে ফরাসি ফুটবল ক্লাব এসসি ব্রোনের যুব পর্যায়ের হয়ে ফুটবল জগতে প্রবেশ করেন। ২০০৭ সালে ফ্রান্সের হয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অভিষেক হয় তাঁর।

তিনি মূলত কেন্দ্রীয় আক্রমণভাগের খেলোয়াড় হিসেবে খেললেও মাঝেমধ্যে ডানপার্শ্বীয় আক্রমণভাগের খেলোয়াড় এবং বামপার্শ্বীয় আক্রমণভাগের খেলোয়াড় হিসেবে খেলেন। বেনজেমা ব্রাজিলে অনুষ্ঠিত ২০১৪ ফিফা বিশ্বকাপের জন্য দিদিয়ে দেশঁয়ের অধীনে ঘোষিত ফ্রান্স দলে স্থান পাওয়ার মাধ্যমে প্রথমবারের মতো ফিফা বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করার সুযোগ পান। ২০১৪ সালের ১৫ জুন তিনি হন্ডুরাসের বিরুদ্ধে গ্রুপপর্বে নিজেদের প্রথম ম্যাচে অংশগ্রহণ করেন। অভিষেক ম্যাচেই তিনি ফিফা বিশ্বকাপে তাঁর প্রথম গোলটি করেছেন। ওই বিশ্বকাপে তিনি পাঁচ ম্যাচে ৩টি গোল করে নজর কাড়েন। বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি ফুটবলপ্রেমীর পছন্দের তালিকার শীর্ষে রয়েছেন এই ফরোয়ার্ড। মাঝে এক কেলেঙ্কারিতে তাঁকে জাতীয় দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল আজীবন। কিন্তু তিনি সব সময় নিজেকে নির্দোষ দাবি করে এসেছেন। তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার বলে দাবি করেন। পরবর্তীতে ধারাবাহিকভাবে রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে একের পর এক দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে তাঁকে ফিরিয়ে আনা হয় ফ্রান্সের জাতীয় ফুটবল দলে। থেমে যাননি এই মুসলিম ফুটবলার। কখনো জাতীয় দলের হয়ে আবার কখনো রিয়াল মাদ্রিদের জার্সি গায়ে চেপে ধারাবাহিকভাবে গোল করে যাচ্ছেন এই স্ট্রাইকার। লেফট উইং থেকে অথবা রাইট উইং থেকে সব সময়ই বিপক্ষ দলের মাথাব্যথার কারণ তিনি। এত বছর ধরে নিজের ফিটনেস ধরে রেখে তিনি যেভাবে এগিয়ে চলেছেন তা বিশ্বজুড়ে হাজার হাজার ফুটবলারের আদর্শ। অসম্ভব এই প্রতিভাবান খেলোয়াড় সব সময় নিজেকে উজাড় করে দিয়ে থাকেন মাঠে।

 

মোহাম্মদ সালাহ

বিশ্বের অন্যতম সেরা তারকা ফুটবলার মোহাম্মদ সালাহ। একই সঙ্গে বিশ্বের সেরা প্রভাবশালী মুসলিম ব্যক্তিত্ব মিসরের এই মহাতারকা...

 

বিশ্ববিখ্যাত তারকা ফুটবলার মোহাম্মদ সালাহ পৃথিবীর মধ্যে অন্যতম ক্ষমতাশালী মুসলিম। ২৯ বছর বয়সী এই তারকা ফুটবলার লিভারপুলকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে তুলেছিলেন। মাত্র ৫২ ম্যাচে করেছিলেন ৪৪ গোল। লিভারপুলকে ইংলিশ লিগের শিরোপা উপহার দেওয়া মিসরীয় এই তারকা আয়ের দিক দিয়ে পাঁচ নম্বর স্থানটি দখল করেন। এক বছরে তাঁর আয় ৩৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (৩১৪ কোটি টাকা)। এর মধ্যে ২৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার তিনি আয় করেন বেতন থেকে। বাকি ১৩ মিলিয়ন ডলার তিনি আয় করেন স্পন্সরশিপ থেকে। মেসি-রোনালদোর পর এখন সালাহ সেরাদের সারিতে রয়েছেন। একটি মার্কিন ওয়েবসাইট সংস্থা ‘দ্য মুসলিম ৫০০’ বিশ্বের অন্যতম ক্ষমতাশালী ৫০ জন মুসলিম ব্যক্তির একটি তালিকা প্রকাশ করে। সেই তালিকায় ৪৬ নম্বরে রয়েছেন সালাহ। সোনার বুটজয়ী তারকা ফুটবলার নিজের দেশ মিসরে এমনিতেই ভীষণ জনপ্রিয়। মিসরে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় ১ মিলিয়নের বেশি মানুষ সালাহকে মিসরের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দেখতে চেয়েছিলেন। মিসরে প্রচুর সমাজকল্যাণমূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত সালাহ। শার্ম এল শেখ শহরে সালাহর একটি মূর্তিও উন্মোচিত হয়েছে। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে তাঁর প্রত্যাবর্তনের মৌসুমেই নিজেকে নতুন করে চিনিয়েছিলেন তিনি। রেকর্ড ভাঙাগড়ার খেলায় মেতেছিলেন যেন। এক মৌসুমে সবচেয়ে বেশি ম্যাচে গোলের রেকর্ড গড়েন। আফ্রিকান খেলোয়াড় হিসেবে সবচেয়ে বেশি গোলের রেকর্ডটাও তাঁর হয়ে গেছে সেই ফাঁকে। গোল করায় বাম পা বেশি প্রিয় হওয়ায় রবি ফাওলারের বাম পায়ে সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ডটাও দখল করেন সালাহ। অভিষেক মৌসুমে লিভারপুলের হয়ে সর্বোচ্চ গোল তাঁরই। এক মৌসুমে সবচেয়ে বেশি ম্যাচে  গোলের রেকর্ডটাও মৌসুম শেষ হওয়ার আগেই করে ফেলেছিলেন। শুধু ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ নয়, ক্লাবের হয়ে ইউরোপেও রেকর্ড গড়ে চলেছেন সালাহ। চ্যাম্পিয়নস লিগে আফ্রিকান খেলোয়াড় হিসেবে সর্বোচ্চ গোলের  রেকর্ড এখন মিসরীয় ফরোয়ার্ডের। মিসরের বাসইয়ুন শহরের নাগরিগ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন এই তারকা ফুটবলার। ফুটবলে হাতেখড়ি বড় ভাইয়ের সঙ্গে খেলে। কিন্তু ফুটবলে নিজেকে মেলে ধরতে কঠিন পরিশ্রমের পথ বেছে নিয়েছিলেন সালাহ। ১৪ বছর বয়সেই যোগ দেন কায়রোর আরব কন্ট্রাক্টরসে (এল মোকাওলুন)। গ্রাম থেকে চার থেকে সাড়ে চার ঘণ্টা পথ পাড়ি দিয়ে ক্লাবের অনুশীলনে যেতেন। কখনো তিনটি, কখনো চার-পাঁচটি বাস বদলাতে হতো এই ফুটবলারের।

 

জিনেদিন জিদান

জিনেদিন ইয়াজিদ জিদান। এক নামেই চেনে তাঁকে গোটা দুনিয়ার মানুষ। যারা ফুটবল পছন্দ করেন না তারাও পছন্দ করেন এই ফুটবলারকে। ব্যক্তিজীবনে আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্বের অধিকারী। বিশ্বকাপের ফাইনালে পরাক্রমশালী ব্রাজিলকে ফাইনালে হারিয়ে বিশ্বকাপ জয় করে ফ্রান্স। ঘরের মাঠে সেবার বিশ্বকাপ জয়ে বড় অবদান রাখেন তিনি। হয়ে ওঠেন বিশ্ব তারকা। তবে বিতর্কও পিছু ছাড়েনি তাঁকে। নানা সময়ে বিতর্কে জড়ালেও সব সময় পৃথিবীর মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছেন এই তারকা ফুটবলার। বর্তমানে স্পেনীয় পেশাদার ফুটবল লিগের শীর্ষ স্তর লা লিগার ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদে ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি তাঁর খেলোয়াড়ি জীবনের অধিকাংশ সময় রিয়াল মাদ্রিদ, ইয়ুভেন্তুস, বর্দো এবং ফ্রান্স জাতীয় দলের হয়ে একজন মধ্যমাঠের খেলোয়াড় হিসেবে খেলেছেন। অনেকেই তাঁকে সর্বকালের সেরা খেলোয়াড় হিসেবে আখ্যায়িত করে থাকেন। তবে সম্প্রতি তাঁকে পিএসজিতে দেখা যেতে পারে বলেও সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। খেলোয়াড়ি জীবনের বাইরে তিনি একজন অসাধারণ মানুষ। খেলার মাঠে জিদান একজন উঁচু স্তরের প্লেমেকার, যিনি তাঁর খেলোয়াড়ি সৌন্দর্য, দূরদৃষ্টি, বল পাস, বল নিয়ন্ত্রণ ও কৌশলের জন্য প্রসিদ্ধ। তিনি প্রথম আরব দেশ হিসেবে ২০২২ ফিফা বিশ্বকাপ মঞ্চায়নে কাতারের সফল নিলাম ডাকের প্রতিনিধি ছিলেন।

ওজিল

বিশ্বের সেরা অ্যাটাকিং মিডফিল্ডারদের একজন ওজিল। খেলার মাঠে কখনো তাঁকে দেখা যায় বাম কিংবা ডান প্রান্তের উইংগার হিসেবে, আবার কখনো সেন্ট্রাল অ্যাটাকিং মিডফিল্ডারের ভূমিকা পালন করতে। অ্যাটাকিং মিডফিল্ড পজিশনকে তিনি নিয়ে গেছেন এক অনন্য উচ্চতায়। অনেকেই তাঁর তুলনা করেন বিশ্বখ্যাত মিডফিল্ডার জিনেদিন জিদানের সঙ্গে। ভালো খেলার পাশাপাশি ভালো আচরণেরও সংমিশ্রণ ঘটেছে তাঁর চরিত্রে। ওজিলকে বলা হয় ফুটবল জগতের অন্যতম একজন শৈল্পিক কারিগর। তাঁর পুরো নাম মেসুত ওজিল। তুরস্ক বংশো™ভূত ওজিল নিজেকে জার্মান হিসেবেই সব সময় পরিচয় দিয়েছেন। তবে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগানের সঙ্গে সাক্ষাৎ এবং ছবি তোলায় বেশ আলোচিত হন তিনি। জার্মানির হয়ে বিশ্বকাপ জিতলেও নিজের শিকড় কখনো আড়াল করার  চেষ্টা করেননি। সেই তুরস্কপ্রীতিই তাঁর জন্য কাল হয়ে দাঁড়ায়। ওয়েস্টহ্যামের বিপক্ষে ম্যাচের পর থেকে ওজিলকে আর আর্সেনালের জার্সিতে দেখা যায়নি। কোচ মিকেল আরতেতার দলে ব্রাত্য হয়ে পড়েছিলেন বিশ্বকাপজয়ী এ তারকা। ২০১৩ সালে ৪২.৪ মিলিয়ন পাউন্ড ট্রান্সফার ফিতে রিয়াল মাদ্রিদ থেকে আর্সেনালে এসেছিলেন ওজিল।

ফুটবল ভালোবাসেন অথচ মেসুত ওজিলের খেলা দেখে বিমোহিত হননি, এমন ফুটবলপ্রেমী খুঁজে পাওয়া অসম্ভব। মেসুত ওজিল একজন সুকৌশলী ও সুচিন্তিত অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার। মাঝমাঠ থেকে আক্রমণভাগে থাকা তাঁর সতীর্থদের তিনি এমনভাবে বল তুলে দেন যে, গোল করতে তাঁদের কোনো বেগ পেতে হয় না।

ইলকেয় গুন্দোগান

ইলকেয় গুন্দোগান একজন জার্মানির পেশাদার ফুটবলার। তিনি জার্মানি জাতীয় ফুটবল দল এবং ম্যানচেস্টার সিটি ফুটবল ক্লাবের মধ্যমাঠের খেলোয়াড়। মুসলিম এই তারকা ফুটবলার জার্মানির জেলসেনকিরচেন শহরে একটি তুর্কি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। ২০১১ সালের ৫ মে এফসি নুরেমবার্গ ক্লাব থেকে ৪ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময় বুরুসিয়া ডর্টমুন্ডে চার বছরের চুক্তিতে যোগ দেন। ২ জুন ২০১৬ সালে চার বছরের চুক্তিতে ম্যানচেস্টার সিটিতে যোগ দেন তিনি। তাঁকে আনতে আনুমানিক ২০ মিলিয়ন পাউন্ড খরচ হয়েছিল।

পল পগবা

বর্তমান ফুটবল বিশ্বে প্রথম সারির তারকার মধ্যে পল পগবা অন্যতম। তাঁর জনপ্রিয়তা বিশ্বব্যাপী। তিনি সম্ভ্রান্ত এক মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। বিশ্বকাপের আগে ওমরাহ করতে সৌদি যান তিনি। কাবা শরিফের পাশে তোলা একটি ছবিও ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেন পগবা। তিনি সেন্ট্রাল মিডফিল্ডার হিসেবে মাঠ কাঁপান। ১৯৯৯-২০০০ মৌসুমে ফরাসি ফুটবল ক্লাব রোয়াসি-অঁব্রিয়ের যুব পর্যায়ের হয়ে খেলার মাধ্যমে পগবা ফুটবল জগতে প্রবেশ করেন এবং পরবর্তীতে ল্য আভ্র এবং ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের যুব দলের হয়ে খেলার মাধ্যমে তিনি ফুটবল খেলায় নিজেকে মেলে ধরেন। ২০১১-১২ মৌসুমে ইংলিশ ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে খেলার মাধ্যমে তিনি তাঁর সিনিয়র পর্যায়ের খেলোয়াড়ি জীবন শুরু করেন। ২০১২-১৩ মৌসুমে তিনি বিনামূল্যে ইতালীয় ক্লাব ইয়ুভেন্তুসে যোগদান করেন, ইয়ুভেন্তুসের হয়ে তিনি চার মৌসুমে চারটি লিগ শিরোপা জয়লাভ করেন। ২০১৬-১৭ মৌসুমে তিনি তৎকালীন বিশ্বরেকর্ড স্থানান্তর ফিতে ইয়ুভেন্তুস  থেকে পুনরায় ইংলিশ ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে যোগদান করেন। তার বেতন প্রায় ১০৫ মিলিয়ন ইউরো।

সাদিও মানে

সাদিও মানে বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় একজন মুসলিম ফুটবলার। ১৯৯২ সালের ১০ এপ্রিল সেনেগালের সেদিউয়ে জন্মগ্রহণ করেন এবং সেখানেই তাঁর শৈশব কাটে। বিশ্বজুড়ে তিনি পরিচিত একজন সেনেগালীয় পেশাদার ফুটবল খেলোয়াড় হিসেবে। তিনি বর্তমানে ইংল্যান্ডের পেশাদার ফুটবল লিগের শীর্ষ স্তর প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব লিভারপুল এবং সেনেগাল জাতীয় দলের হয়ে আক্রমণভাগের খেলোয়াড় হিসেবে খেলেন। তিনি ২০১৬-১৭ মৌসুমে ৩০ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে সাউদাম্পটন থেকে লিভারপুলে যোগদান করেন।

অ্যান্টোনিও রুডিগার

অ্যান্টোনিও রুডিগার একজন জনপ্রিয় মুসলিম ফুটবল তারকা। তিনি জার্মানির পেশাদার ফুটবলার। প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব চেলসি এবং জার্মানি জাতীয় দলের হয়ে রক্ষণভাগের খেলোয়াড় হিসেবে খেলেন। রুডিগার ভিএফবি স্টাটগার্টের হয়ে খেলার মাধ্যমে তাঁর পেশাদার ক্যারিয়ার শুরু করেন। বাকিটা ইতিহাস। একের পর এক দুর্দান্ত পারফরম্যান্স তাঁকে বিশ্ব তারকায় পরিণত করে। তিনি ২০১৭ ফিফা কনফেডারেশন্স কাপ জয়ী দলে ছিলেন।

ওয়েসলে ফফানা

ওয়েসলে ফফানা একজন ফরাসি পেশাদার ফুটবল খেলোয়াড়। ২১ বছর বয়সী এই খেলোয়াড় বর্তমানে ইংলান্ডের পেশাদার ফুটবল লিগে খেলে নিজেকে পরিচিত করে তুলেছেন। সর্বপ্রথম ফ্রান্স অনূর্ধ্ব-২১ দলের হয়ে একজন রক্ষণভাগের খেলোয়াড় হিসেবে খেলে সবার নজর কাড়েন। তিনি মূলত একজন কেন্দ্রীয় রক্ষণভাগের খেলোয়াড় হিসেবে খেলে থাকেন। ২০২০ সালে ফফানা ফ্রান্স অনূর্ধ্ব-২১ দলের হয়ে ফ্রান্সের বয়সভিত্তিক পর্যায়ে অভিষেক করেন।

সর্বশেষ খবর