২৩ নভেম্বর, ২০২২ ১৫:২৪
নেত্রকোনা

নবান্নের উৎসবে মেতেছে কৃষাণ-কৃষাণীরা

নেত্রকোনা প্রতিনিধি


নবান্নের উৎসবে মেতেছে কৃষাণ-কৃষাণীরা

মৌ মৌ গন্ধে হেমন্তের অগ্রাহায়ণে গ্রাম থেকে গ্রামে এখন চলছে নবান্নের উৎসব। কৃষাণ-কৃষাণিরা ব্যস্ত সময় পার করছেন ধান কাটা মাড়াই উৎসবে। পরিবারের সবাই মিলে ঘরে তুলছেন নতুন ধান। ফলন ভালো হওয়ায় খুশি কৃষকরাও। তবে অনেক এলাকায় রয়েছে শ্রমিক সঙ্কট। মজুরি বেশি থাকায় পরিবার পরিজন নিয়ে নিজেরাই ধান কাটা-মাড়াইয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। এদিকে শ্রমিকরা বলছেন, ধান কাটছেন তারা একদম কম মজুরিতে।

সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, হেমন্তের মিষ্টি রোদে ভোর থেকে সন্ধ্যা অবধি এক অন্যরকম দৃশ্য গ্রামের মাঠে মাঠে। শহর ছেড়ে গ্রামে এখন চারদিকে নতুন ধানের মৌ মৌ গন্ধ ছড়াচ্ছে। জেলার পুর্বধলা, কেন্দুয়া, আটপাড়া, দুর্গাপুর ও সদরসহ উঁচু এলাকাগুলোতে শুরু হয়ে গেছে পুরোদমে শস্য কর্তন। বাড়ির উঠোন কিংবা জমিতেই নবান্নের উৎসবে মেতেছে নারী-পুরুষ।

পুরোদমে ব্যস্ত গ্রামের প্রতিটি কৃষক পরিবার। কাঠা প্রতি চার পাঁচমণ ধান পাওয়ায় এবার সন্তুষ্ট কৃষকেরা। নিজেরাই কাটা মাড়াইয়ের কাজ করছেন। আবার অনেকে হারভেস্টার মেশিন দিয়েও কাটছেন ধান।

গ্রামগুলোতো ধান তোলার প্রতিযোগিতা। জেলার পুর্বধলার ইসবপুর গ্রাম, সদরের চল্লিশার লাইট গ্রামসহ পুকুরিয়া ও মঈনপুরে চলছে পুরোদমে ধান কর্তন। তবে কৃষকরা বলছেন, শ্রমিক খরচ বেশি।

ধান কাটার পর মাড়াই মেশিনেও দিতে হয় কাঠা প্রতি ৫০০ টাকা। এজন্য ধান মাড়াই নিজেরাই করছেন পরিবারের সদস্যদের নিয়ে। স্কুল বাদ দিয়ে সন্তানরাও বাবা মায়ের সাথে ফসল তোলার আনন্দে মেতেছে। ফলন ভালো হলেও দ্রব্যমূল্যের দামের জন্য লাভ আর থাকে না। এদিকে শ্রমিকদেরও একই অভিযোগ। সব কিছুর দাম বাড়লেও মজুরি বাড়েনি। নামেমাত্র মূল্যে ৪৫০ বা ৫০০ টাকায় তারা কাটছেন জমির ফসল।

এদিকে কৃষি বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকতা বলছেন, এবার স্বল্পকালের ফলন ভালো হওয়ায় এবং আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ফলন বেশি হয়েছে। একটু সমস্যা হচ্ছে সবগুলো ধান একসাথে না পাকায় হারভেস্টার মেশিন যাচ্ছে না। সে সকল এলাকাগুলোতে কিছু শ্রমিক সঙ্কট হয়তো থাকতে পারেও বলে জানান জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক কৃষিবিদ মো. নুরুজ্জামান।

 

বিডি প্রতিদিন/ফারজানা

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর