৬ ডিসেম্বর, ২০২২ ১৬:২৫

অপরূপ রূপে সেজেছে চলনবিলের মাঠ

নাটোর প্রতিনিধি

অপরূপ রূপে সেজেছে চলনবিলের মাঠ

হেমন্ত-শীতের মাঝামাঝি সময়ে প্রকৃতির এক অপরূপ রূপে সেজেছে নাটোরের সিংড়ার চলনবিলের সরিষা ক্ষেতের মাঠ। যে দিকে তাকানো যায় শুধু হলুদ আর হলুদ। এ যেন রূপকথার  হলুদের এক বিশাল রাজ্য। এমন মনোমুগ্ধকর দৃশ্য উপভোগ করতে অনেক দর্শনাথীদের পদচারণা এখন সরিষা ক্ষেতে। জমির আইলে বসে কেউ গল্প করছেন আবার কেউ মোবাইলে তুলছেন সেলফি। সরিষা ফুলের মধু সংগ্রহে মৌমাছির পাশাপাশি ব্যস্ত সময় পার করছেন মধু চাষীরাও।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণের সূত্র মতে, চলতি বছরে চলনবিল অধ্যুষিত সিংড়া উপজেলায় সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৪ হাজার ২০০ হেক্টর। লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে এ বছর  সরিষার চাষ হয়েছে ৪ হাজার ৫০০ হেক্টর।

কৃষকরা বলছেন, সরিষার ভালো ফলন আর সঠিক দামের পাশাপাশি লাভবান হওয়ায় সরিষা চাষে তাদের আগ্রহ বাড়ছে। 

লালড় বারুইহাটি গ্রামের কৃষক রনজিৎ সরকার বলেন, গত বছর ২৫ বিঘা জমিতে বারি-১৪ জাতের সরিষার চাষ করেছিলাম। হালচাষ, বীজ,পানি সেচ ও সারসহ ফসল ঘরে উঠানো পর্যন্ত আমার প্রতি বিঘায় খরচ হয়েিেছল সাড়ে ৬ হাজার টাকা। এ বছর ৫ বিঘা বৃদ্ধি করে ৩০ বিঘা জমিতে সরিষার চাষ করেছি। আবহাওয়া ভালো থাকলে আশা করি এবছরও লাভের মুখ দেখবো।

রামানন্দ খাজুরা ইউনিয়নের ঝিঙা বাড়িয়া গ্রামের কৃষক হেলাল উদ্দিন বলেন, কৃষি কর্মকর্তার পরার্মশক্রমে এ বছরই আমি প্রথম ১০ বিঘা জমিতে সরিষার চাষ শুরু করেছি।

ডাহিয়া ইউনিয়নের বেড়াবাড়ি গ্রামের কৃষক হাসান আলী বলেন, এ বছর আগাম বন্যার পানি নেমে যাওয়ায় আমাদের এই মাঠ জুড়ে সবাই সরিষার চাষ করেছে। যা গত ১০-১৫ বছরের মধ্যে এই মাঠে এত সরিষার চাষ হয় নাই। আমি ২০ বিঘা জমিতে সরিষার চাষ করেছি। আশা  করছি, সরিষা ঘরে তুলে বোরো ধান রোপণ করবো।

উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো. সেলিম রেজা বলেন, চলনবিল অধ্যুষিত সিংড়া উপজেলা একটি কৃষি প্রধান অঞ্চল। গত বছর এ অঞ্চলে সরিষার চাষে লাববান হওয়ায় এ বছর লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে প্রায় ৭০০ হেক্টর জমিতে সরিষার চাষ বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলন ও দাম ভালো পাওয়ায় কৃষকরাও খুশি। আমরা আশা করছি, সরিষা উৎপাদনের এই বৃদ্ধি আগামীতেও অব্যাহত থাকবে। 

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর