শিরোনাম
২৪ এপ্রিল, ২০১৯ ২১:০৪

সমস্যা জর্জরিত চবির শাহজালাল হল, আন্দোলনে শিক্ষার্থীরা

বাইজিদ ইমন, চবি

সমস্যা জর্জরিত চবির শাহজালাল হল, আন্দোলনে শিক্ষার্থীরা

নানান সমস্যায় জর্জরিত হয়ে পড়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শাহজালাল হল। অভ্যন্তরীণ পানির নলে ত্রুটি, ঘণ্টার পর ঘণ্টার পানি না থাকা, অপরিচ্ছন্ন ওয়াশরুম ও টয়লেট, অপর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থাসহ অবকাঠামোগত বিভিন্ন সমস্যা এ হলে। 

এছাড়া হলের ছাদ থেকে ভেঙে পড়ছে পলেস্তারা। এতে আহতও হয়েছেন ইতিহাস বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের মো. কামরুল। ফলে হুমকির মুখে হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা। কর্তৃপক্ষের যথাযথ উদ্যোগের অভাবে এই সমস্যাগুলো দিন দিন বাড়ছে বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, অধিকাংশ বাথরুমের অবস্থা সংকটাপন্ন। অভ্যন্তরীণ পানির নল ফেটে গিয়ে দেয়াল চুইয়ে পানি পড়ছে। পানি জমে গিয়ে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি করছে। দীর্ঘদিন ধরে এই অবস্থা থাকায় শ্যাওলা জন্মে জায়গাটা পিচ্ছিল হয়ে পড়েছে। ক্ষেত্রবিশেষে পানি মেঝে গড়িয়ে রুমে প্রবেশ করছে। অনেকগুলো রুম বাসের অযোগ্য হয়ে পড়ছে। এতে প্রতিনিয়ত পানির অপচয় ঘটছে। গোসলের জন্যে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়াতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। এমনকি হলের ২২৬, ২২৭, ২২৪, ২২১, ২১৮ নং রুম গুলোতে পলেস্তারা পড়ছে প্রতিনিয়তই। যে কোনো সময় ঘটতে পারে দুর্ঘটনা। এছাড়াও টয়লেটের অধিকাংশই ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।

এ বিষয়ে হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের আবাসিক শিক্ষার্থী হুমায়ুন কবির বলেন, দিনে তিনবার পানির সমস্যা, লাইটিং সমস্যা, হল অন্ধকার, বৃষ্টি হলেই পানি ঢুকে হলের রুমগুলোতে নেই কোনো দৃশ্যমান পদেক্ষেপ। স্যার শুধুই ব্যস্ত থাকেন অন্য কাজে। হলের আরেক আবাসিক শিক্ষার্থী রাজু মন্সি যোগ করে বলেন, সুলতান স্যার সব সময় নিয়োগ বাণিজ্য নিয়ে ব্যস্ত থাকে। সে অনেক টাকার মালিক। তার গোষ্ঠীর সবাইকে যেন তিনি চাকরি দিবেন এমনভাবে এসব বিষয়ে তিনি তৎপর। শুধু তৎপর না হলের বিষয়ে। 

এছাড়াও, দু'শ ছাত্রের আবাসিক এই হলে রাউটারের সাহায্যে নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেট ব্যবস্থার কথা থাকলেও ধিরগতির কারণে কোনো সুফল পাওয়া যাচ্ছে না। সন্ধ্যা হতে হতেই ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার ফলে ইন্টারনেটের গতি মন্থর হয়ে পড়ে।

হলের এসব সমস্যার বিষয়ে জানতে প্রভোস্ট প্রফেসর ড. সুলতান আহমদকে কয়েক বার কল দিলেও তিনি রিসিভ না করে মোবাইল ফোন বন্ধ করে দেন।

হলের সমস্যা নিয়ে আবাসিক শিক্ষার্থীরা একাধিকবার হল কর্তৃপক্ষকে জানায়। কোনো উদ্যোগ না থাকায় হলের গেইটে তালা দিয়ে প্রায় চার ঘণ্টা ধরে রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে প্রতিবাদ করে। এদিকে হলের হাউস টিউটর আরিফ উদ্দিন বাবুকেও কয়েক ঘণ্টা অবরোধ করে রাখে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।


বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর