২৫ মে, ২০১৯ ১৫:১৯

রাবিতে ২৫ দিন হল বন্ধের সিদ্ধান্তে শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

রাবিতে ২৫ দিন হল বন্ধের সিদ্ধান্তে শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ

পবিত্র রমজান, ঈদুল ফিতর ও গ্রীষ্মকালীন অবকাশ উপলক্ষে আগামী ৩০ মে থেকে ২৩ জুন পর্যন্ত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) আবাসিক হলগুলো বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গত ১০ মে প্রাধ্যক্ষ পরিষদের সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। দীর্ঘ ২৫ দিনের হল বন্ধের এই সিদ্ধান্তে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থীরা।

তাদের অভিযোগ, দেশের অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ে ঈদে আবাসিক হল বন্ধ রাখার নজির নেই। সেখানে দেশের দ্বিতীয় প্রাচীন বিদ্যাপীঠ হওয়া সত্ত্বেও ক্যাম্পাসে কোন গন্ডগোল ছাড়াই রাবিতে ২৫ দিন হল বন্ধ রাখা হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও প্রাধ্যক্ষ পরিষদ নিজেদের সুবিধার জন্য এতদিন হল বন্ধ রাখছেন। 

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশিরভাগ বিভাগেই ঈদের ছুটির পরপরই সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা শুরু হবে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের একটা বড় অংশ টিউশনি করেন লেখাপড়ার খরচ বহন করে। এত বড় ছুটি থাকায় তারাও পড়েছেন বিপাকে।     

এদিকে, জুন মাসেই কয়েকটি সরকারি চাকরিতে নিয়োগ পরীক্ষা রয়েছে। শিক্ষার্থীরা জানান, ৩১ মে, ২১ ও ২৮ জুন প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। পুলিশের এএসআই নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ১৬, ১৭ ও ১৮ জুন।  তাছাড়া ২৮ জুন মাধ্যমিক সহকারি শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা হতে পারে। ২৩ জুন পর্যন্ত হল বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরা এই পরীক্ষাগুলো হলে থেকে দিতে পারবেন না। 

এছাড়াও সহকারী জজ নিয়োগ পরীক্ষা, ব্যাংকসহ কয়েকটি সরকারী নিয়োগ পরীক্ষা জুন, জুলাইতে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে বলে জানিয়েছেন। এতে করে চাকুরীপ্রত্যাশী শিক্ষার্থীরাই বিপাকে পড়বেন। পর্যাপ্ত প্রস্তুতির অভাবে ভূক্তভোগী হতে হবে তাদের। তাই হল বন্ধের এই সিদ্ধান্ত পুর্নবিবেচনার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়  প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তারা। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের  জনসংযোগ দফতর সূত্রে জানা যায়, পবিত্র রমজান-ঈদুল ফিতর ও গ্রীষ্মকালীন অবকাশ উপলক্ষে ৮ মে বুধবার থেকে ২৩ জুন পর্যন্ত টানা ৪৭ দিনের ছুটি শুরু হয়েছে। ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ থাকলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসিয়াল কার্যক্রম চলবে ১ জুন পর্যন্ত। এই ছুটি উপলক্ষে ৩০ মে থেকে ২৩ জুন হল বন্ধ থাকবে।           
 
এ বিষয়ে জানতে চাইলে হল প্রাধ্যক্ষ পরিষদের আহ্বায়ক ড. আমিনুল ইসলাম বলেন, আপনারা নিশ্চয়ই জানেন ছুটি কমানো বাড়ানোর ক্ষমতা প্রাধাক্ষ পরিষদের নেই। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ছুটির জন্য সুপারিশ করি, সেটা প্রশাসন চিন্তা করে এবং সেটা সিন্ডিকেটে পাশ করে নেয়। আমরা যে সুপারিশ প্রশাসনের কাছে পাঠিয়েছিলাম সেটা ইতিমধ্যে পাশ হয়ে গেছে এবং বিভিন্ন দপ্তরে এই ছুটির নোটিশ চলে গেছে। তাই ছুটি কমানোর সুযোগ নেই। তবে উপাচার্য মহোদয় যদি বিষয়টি বিবেচনায় নেন তাহলে কমানো যাবেই না বিষয়টি তা না।


বিডি-প্রতিদিন/তাফসীর

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর