ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্রদলের উপর ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের হামলার সময় পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে তিন সাংবাদিককে মারধর ও মোবাইল কেড়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস এই ঘটনায় নেতৃত্ব দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
ভুক্তভোগী সাংবাদিকরা হলেন, স্টুডেন্ট জার্নালের ঢাবি প্রতিনিধি আনিছুর রহমান, বিজনেস বাংলাদেশের আফসার মুন্না ও প্রতিদিনের সংবাদের রাহাতুল ইসলাম রাফি।
ভুক্তভোগী আনিছুর রহমান জানান, সকাল সাড়ে ১২টার দিকে হাকিম চত্বরে ছাত্রলীগের ঢাবি শাখার সভাপতির নেতৃত্বে ক্যাম্পাসে আসা ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের মারধর করা হচ্ছিল। এ সময় আমি পেশাগত দায়িত্ব পালন করছিলাম। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আমাকে এসে ঘিরে ধরে। সনজিত চন্দ্র দাসও আমার সামনে আসেন। আমি সাংবাদিক পরিচয় দেওয়ার পরও তারা আমাকে থাপ্পড় দিয়েছেন। এ সময় আমার মোবাইল ফোনটিও নিয়ে যায় তারা। সুর্যসেন হলের ভিপি মারিয়াম জামান খান সোহান, হল শাখার সভাপতি প্রার্থী নাহিদ হাসান, সদস্য সাব্বির হাসান শোভন আমাকে মারধর করে।
আরেক ভুক্তভোগী আফসার মুন্না জানান, মেট্রোরেলের কাছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা কয়েকজন ছাত্রদল কর্মীকে মারধর করছিলো। আমি মারামারির ছবি উঠাতে গেলে ছাত্রলীগের এফ রহমান হল ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি হোসাইন মাহমুদ আপেল, ঢাবি শাখার উপ-প্রচার সম্পাদক মহসিন তালুকদার, সুর্যসেন হল শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম শপু আমাকে মারধর শুরু করে। এ সময় প্রতিদিনের সংবাদের প্রতিনিধি রাহাতুল ইসলামকেও মারধর করে তারা।
এই ঘটনাকে ছাত্রলীগের ‘অতি উৎসাহী নেতাকর্মীদের কাজ’ বলে আখ্যায়িত করেছেন সনজিত চন্দ্র দাস। তিনি বলেন, এ ধরনের ঘটনা ভবিষ্যতে যাতে না ঘটে সে বিষয়ে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের সতর্ক করে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হবে। হামলাকারীদের বিরুদ্ধে সাংঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল