রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) দুই ছাত্রীসহ চার শিক্ষার্থীকে পিটিয়েছে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।
রবিবার রাত ১১টার দিকে বিনোদপুর বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
হামলা ও উত্ত্যক্তকারীরা হলেন, স্থানীয় ৩০ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা শহিদুল ইসলাম শহীদের ছোট ভাই ও বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেলের গার্ড রবি, খলিল, খলিলের ছেলে শান্ত, রবির ভাগনে সিরাজুল, উষা, শিপন, জনিসহ ১৫-২০জন।
মারধরের শিকার শিক্ষার্থীরা হলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব বিজনেস এডমিনিস্ট্রেশন (আইবিএ) বিভাগের প্রথম বর্ষের দুই ছাত্রী, ছাত্র শোভন ও লোক প্রশাসন বিভাগের ২য় বর্ষের শিক্ষর্থী নাইমুল ইসলাম নাঈম।
মারধরের শিকার শিক্ষার্থীরা জানান, বিনোদপুর বাজারে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কের রেলিংয়ের ওপর আমরা ঢাকার বাসের অপেক্ষায় বসে ছিলাম। এমন সময় হঠাৎ স্থানীয় অপরিচিত কয়েকজন এসে আমাদের উত্ত্যক্ত করে। প্রথমে শোভন বাধা দিলে তাকে মারধর শুরু করে এবং আমাদের (দুই ছাত্রী) সেন্ডেল দিয়ে পিটাতে থাকে। এসময় লোক প্রশাসন বিভাগের ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী নাঈম এসে বাধা দিলে তার উপরও চড়াও হয় তারা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাস্তার রেলিংয়ের পাশে ছেলে-মেয়ে কয়েকজন সেলফি তুলছিল। এ সময় সেলফি তোলাকে অসামাজিক কার্যকলাপ আখ্যা দিয়ে ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করে স্থানীয় কয়েকজন যুবক। উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করতে গেলে শোভনকে স্টাম্প ও লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি মারতে শুরু করে। পুলিশ আসলে তারা পালিয়ে যায়।
মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান জানান, এ ঘটনায় রবিবার রাতে শিহাব আল কুরাইশ (২০) নামে এক শিক্ষার্থী বাদী হয়ে একটি মামলা করেছে। রবি ও খলিল, খলিলের ছেলে শান্ত, মালেকারা মোড়ের সিরাজুল, উষা, শিপন, জনি সহ অজ্ঞাতনামা ১৫-২০ জনকে আসামি করে নারী নির্যাতন ও হামলার অভিযোগে মামলা করা হয়েছে। মামলা নং ৫০।
রাবি প্রক্টর প্রফেসর ড. লুৎফর রহমান বলেন, মতিহার থানায় মামলা হয়েছে। এ বিষয়ে পুলিশের সাথে কথা বলেছি। প্রধান আসামি একজন মেয়েসহ তিনজনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
এদিকে অপরাধীদের শাস্তির দাবিতে সোমবার দুপুর ১২টার দিকে রাবি শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল ও কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে সমাবেশ করেছে। এতে বিভিন্ন বিভাগের প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন