বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সাথে জেলা প্রশাসন, মেট্রোপলিটন পুলিশ প্রশাসন, বাস মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, রূপাতলী হাউজিং সোসাইটি এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বৈঠক আগামীকাল বুধবার।
মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাকক্ষে শিক্ষার্থীদের সাথে উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. ছাদেকুল আরেফিনসহ সিনিয়র শিক্ষকদের এক সভায় এই সমঝোতা সভার সিদ্ধান্ত হয়। ওই সভা থেকে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। এর মাধ্যমে একটি চলমান সমস্যার সমাধান হবে বলে আশা উপাচার্যের।
গত ১৬ ফেব্রুয়ারি গভীর রাতে নগরীর রূপাতলী হাউজিংয়ের বিভিন্ন মেসে ঢুকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তত ২০ জন শিক্ষার্থীকে নির্যাতন করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনার প্রতিবাদে এবং চিহ্নিত হামলাকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে ওই রাত থেকেই আন্দোলন শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
সব শেষ তারা ২০ ফেব্রুয়ারি দিনভর বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে। পরদিন ২১ ফেব্রুয়ারি এবং ২২ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে মহাসড়ক অবরোধ কর্মসূচি স্থগিত করেন তারা। চরমোনাই মাহফিলের কারণে ২৩ ফেব্রুয়ারি থেকে ফের অবরোধ কর্মসূচি স্থগিত করা হয়।
এ অবস্থায় ৩ দফা দাবি আদায়ে মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সাথে বৈঠক করে শিক্ষার্থীরা। তারা তাদের উপর চিহ্নিত হামলাকারীদের গ্রেফতার এবং শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা প্রদানসহ ৩ দফা দাবিতে অটল থাকেন এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দায়ের করা মামলার অগ্রগতি জানতে চান উপাচার্যের কাছে।
এর পরিপ্রেক্ষিতে উপাচার্য সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সাথে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের প্রস্তাব দেন শিক্ষার্থীদের। শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের প্রস্তাব মেনে সভায় বসতে রাজি হয়। তবে আলোচনা ফলপ্রসু না হলে ফের শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা বলেন আন্দোলনকারীরা। এই সভায় একটি চলমান সমস্যা সমাধান হবে বলে প্রত্যাশা করেন উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. ছাদেকুল আরেফিন।
এদিকে, হল খুলে দেওয়ার দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনের নিচে অবস্থান নেওয়া শিক্ষার্থীরা তাদের দাবি থেকে সরে গেছেন। গতকাল তাদের কোথাও দেখা যায়নি। শিক্ষার্থী নির্যাতনকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে চলমান আন্দোলনের সাথে হল খুলে দেওয়া আন্দোলনের কোনো সম্পর্ক নেই বলে দাবি শিক্ষার্থী প্রতিনিধি অমিত হাসান রক্তিমের।
বিডি প্রতিদিন/এমআই