২১ জানুয়ারি, ২০২২ ১৯:৫৩

ঢাকায় আসছেন না শাবি শিক্ষার্থীরা, শিক্ষামন্ত্রীকে সিলেটে বসার আহ্বান

নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকায় আসছেন না শাবি শিক্ষার্থীরা, শিক্ষামন্ত্রীকে সিলেটে বসার আহ্বান

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনিকে সিলেটে এসে তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসার আহবান জানিয়েছেন উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনকারী শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। অথবা ভিডিও কলেও তাদের সঙ্গে আলোচনা করতে পারেন শিক্ষামন্ত্রী-এমনটাই বলছেন আন্দোলনকারীরা।

শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে আন্দোলনরতদের পক্ষ থেকে শাহরিয়ার আবেদিন নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আন্দোলনকারীদের সিলেটে এভাবে ফেলে ঢাকা যাওয়া সম্ভব না। আলোচনার জন্য শিক্ষামন্ত্রীকে সিলেট আসতে আহ্বান জানিয়েছি। কিংবা ভিডিও কলেও আলোচনা হতে পারে।’

এর আগে শুক্রবার বিকেল ৩টার দিকে আন্দোলনকারীরা তাদের একটি প্রতিনিধি দল ঢাকার পাঠানোর কথা বললেও আড়াই ঘণ্টার ব্যবধানে মত পাল্টেছে তারা।

শাহরিয়ার আবেদিন জানান, শিক্ষামন্ত্রীর আলোচনার প্রস্তাবে ঢাকা যেতে রাজি হয়েছিলেন। এক ঘণ্টা সময় চেয়েছিলেন তাদের মধ্য থেকে কারা যাবে সেটি সিদ্ধান্ত নিতে। তবে পরে অন্যদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত পাল্টানো হয়।

তিনি আরও বলেন, ‘এখানে আন্দোলনকারীদের ফেলে ঢাকা যাওয়া সম্ভব না। আলোচনার জন্য শিক্ষামন্ত্রীকে সিলেট আসতে আহ্বান জানিয়েছি। কিংবা ভিডিও কলেও আলোচনা হতে পারে। তাদের এই সিদ্ধান্ত শিক্ষামন্ত্রীর পক্ষে আলোচনার প্রস্তাব নিয়ে যাওয়া আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম নাদেলকে জানানো হয়েছে। তিনি মন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে শিক্ষার্থীদের জানাবেন।’

জানা যায়, শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৩টায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরীর মাধ্যমে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে ফোনে কথা বলেন অন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। আলাপকালে শিক্ষামন্ত্রী সমস্যা সমাধানে তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসার প্রস্তাব দিলে তাতে সাড়া দেন তারা।

তবে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে সরাসরি আলোচনা করতে চাইলে শিক্ষামন্ত্রী ঢাকায় আসতে বলেন। এ সময় প্রতিনিধি দলে কারা থাকবে এবং অন্যান্য প্রস্তুতি শেষ করতে শিক্ষামন্ত্রীর কাছে এক ঘণ্টার সময় চান শিক্ষার্থীরা। কিন্তু নিজেদের মধ্যে আলোচনা শেষে মত পাল্টায় তারা।

পুলিশের লাঠিচার্জের ঘটনায় উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগ দাবিতে ১৯ জানুয়ারি অনশনে বসেন ২৪ শিক্ষার্থী। এদিন বিকাল ৩টা থেকে উপাচার্যের বাসভবনের মূল ফটকের সামনে অনশন শুরু করেন তারা। তবে একজন শিক্ষার্থীর বাবা হঠাৎ অসুস্থ হয়ে যাওয়ায় তিনি অনশন ভেঙে বাড়ি যান। বাকিদের মধ্যে ১২ জন হাসপাতালে ভর্তি আছেন আর অনশনস্থলে থাকা ১১ জনকে স্যালাইন দেওয়া হয়।

উল্লেখ্য, শাবির বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের প্রভোস্টের অসদাচরণের অভিযোগ তুলে গত বৃহস্পতিবার রাতে ওই হলের ছাত্রীদের মাধ্যমে সূচিত হয় আন্দোলন। গত শনিবার আন্দোলনরতদের ওপর ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা হামলা চালায় বলে অভিযোগ ওঠে। এতে নতুন মাত্রা পায় আন্দোলন। হলের প্রভোস্টের অপসারণ, অব্যবস্থপনা দূর, ছাত্রলীগের হামলার বিচার চেয়ে পরদিন রবিবার সকল শিক্ষার্থী আন্দোলনে সামিল হন। সেদিন উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করেন শিক্ষার্থীরা। তাকে মুক্ত করতে অ্যাকশনে যায় পুলিশ, শিক্ষার্থীদের বাধা প্রদান করেন। এতে সংঘর্ষ হয়। এতে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, পুলিশসহ অর্ধশতাধিক আহত হন।

বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর