“জাতীয় আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় নবায়নযোগ্য শক্তি বিতর্ক প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। এছাড়া এ প্রতিযোগিতায় রানার আপ হয়েছে ইস্টওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়।
অক্সফ্যামের সার্বিক সহযোগিতায় ডিবেট ফর হিউম্যানিটি (ডিএফএইচ) ও সাউথইষ্ট ইউনিভার্সিটি ডিবেট ক্লাব আয়োজিত এ বিতর্ক প্রতিযোগিতায় দেশের ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিতার্কিক দল অংশগ্রহণ করে। এরমধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সাউথইষ্ট ইউনিভার্সিটি, মাওলানা ভাষানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ইষ্ট ওয়েষ্ট ইউনিভার্সিটি, ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অফ প্রফেশনালস, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, আহসানুল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অফ টেক্সটাইলস, সরকারি তিতুমীর কলেজ, তেজগাঁও কলেজের বিতার্কিক দল দ্বিতীয় রাউন্ডে অংশ নেয়।
রাজধানীর সাউথইষ্ট ইউনিভার্সিটির বনানী ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত ২ দিনব্যাপী এ প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বের বিতর্কের বিষয় ছিল, “এই সংসদ ২০৩০ সাল থেকে গ্রীন ফ্যাক্টরি ব্যতীত কোনো ফ্যাক্টরি স্থাপনের অনুমতি প্রদান করবে না”। প্রস্তাবের উপর সংসদীয় ধারার এই বিতর্কে ইষ্ট ওয়েষ্ট ইউনিভার্সিটিকে পরাজিত করে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।
সমাপনী ও পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে পুরষ্কার বিতরণ করেন বাংলা একডেমির সাবেক মহাপরিচালক ও বিশিষ্ট ইতিহাসবিদ সৈয়দ আনোয়ার হোসেন। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. শওকত আর হুসাইন, সাউথইষ্ট ইউনিভার্সিটির ডিন অধ্যাপক ড. সায়েদ সালাম, সাউথইষ্ট ইউনিভার্সিটির বোর্ড অফ ট্রাষ্টিজ তারেক আল জলিল, একই ইউনিভার্সিটি ডিবেট ক্লাবের মডারেটর ও অর্থনীতি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক রুবা রুমানা, ডিবেট ফর হিউম্যানিটি (ডিএফএইচ) এর চেয়ারপার্সন মুহাম্মদ শফিকুর রহমান, সাউথইষ্ট
ইউনিভার্সিটি ডিবেট ক্লাবের সভাপতি সাইফুল ইসলাম ফারহান, ডিএফএইচ) এর সভাপতি তারেক আজিজ প্রমূখ।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বলেন, তথ্যের ভিত্তিতে যুক্তি প্রদান হচ্ছে বিতর্ক। এতকালের শিল্পায়ন গণমুখী হয়েছে কিনা তা প্রশ্নের দাবিদার। গণমুখী শিল্পায়ন হলে নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহার অপরিহার্য। জ্বালানী সাশ্রয় অবশ্যই জনগণের স্বার্থে হতে হবে। কারণ সার্বভৌম রাষ্ট্রে জনগণের স্বার্থের প্রাধান্য সর্বপ্রথম।
সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে ডিএফএইচ এর উপদেষ্টা ও আইন ও সালিশ কেন্দ্র’র সাবেক নির্বাহী পরিচালক শীপা হাফিজা বলেন, নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহারকে বর্তমান সময়ে সর্বাধিক প্রাধান্য দেয়া প্রয়োজন। আর এই প্রয়োজনের অনুধাবন শুরুটা হোক প্রজন্মের বিতার্কিকদের মাধ্যমেই। অক্সফ্যাম প্রতিনিধি মো. রাজু আহমেদ মাসুম বলেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি কেন্দ্রীক আলোচনা একটি বৈশ্বিক আলোচনার বিষয়বস্তু। অক্সফ্যাম বিশ্বাস করে বর্তমান প্রজন্মের মাঝে এই আলোচনা ছড়িয়ে দেয়ার জন্য বিতর্ক একটি শক্তিশালী মাধ্যম। অধ্যাপক ড. সায়েদ সালাম বলেন, উন্নত বিশ্বের মতো সোলার প্যানেল বা নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার আমাদের দেশেও প্রচলিত আছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্যও কিছু অসাধু সিন্ডিকেটের কারণে এ ব্যবহারের প্রসার ঘটছে না।
বিতর্ক প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, জাতীয় স্বার্থে নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহার বাড়াতে শিল্পপতিদের এগিয়ে আসতে হবে। আমাদের সীমিত সম্পদ সংরক্ষণে রাষ্ট্রযন্ত্রের উপর কেবল নির্ভর না করে সকলকেই এগিয়ে আসতে হবে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল