৯ জুন, ২০২৩ ২০:৪৭

জবির ছাত্রী হলে অতিরিক্ত ফি আদায়ের অভিযোগ

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি:

জবির ছাত্রী হলে অতিরিক্ত ফি আদায়ের অভিযোগ

প্রতীকী ছবি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) একমাত্র ছাত্রীদের আবাসস্থল 'বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে' বিভিন্ন ব্যয়ের খাত দেখিয়ে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ফি আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। 

গত বুধবার মুজিব হলের আবাসিক সিট বরাদ্ধ এবং নবায়ন ফি সম্পর্কিত একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে কর্তৃপক্ষ। এতে বিভিন্ন বিষয়ে অব্যবস্থাপনা, বেশি টাকা নিয়ে কম সুবিধা প্রদান সহ নানা অভিযোগ আনে হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা। 

নতুন বিজ্ঞপ্তিতে দেখা যায়, ক্রিড়া, ধর্মীয়, সাংস্কৃতিক, দারিদ্র তহবিলসহ ১৭ টি সুবিধা খাত উল্লেখ করা হলেও শিক্ষার্থীদের দাবি এই খাতগুলোর বেশির ভাগই অনুপস্থিত মুজিব হলে। সেই সঙ্গে হলে নেই কোনো ধর্মীয় উপাসনালয়। নেই শিক্ষার্থীদের পড়ার জন্য কোনো লাইব্রেরি। তারপরও এসব খাত দেখিয়ে চার হাজার টাকা ফি নিচ্ছে হল প্রশাসন।

শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, নতুন এই বিজ্ঞপ্তিতে নানা খাত দেখিয়ে অতিরিক্ত অর্থ নেওয়া হলেও সেসব খাতের কোনো সুবিধা দেওয়া হচ্ছে না আমাদের হলে। এখন বিভিন্ন খাত দেখিয়ে টাকা নিচ্ছি অথচ এই ধরনের সুবিধা হলে নেই বলে জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক শিক্ষার্থীরা। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হলে বসবাসরত বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের হিসাববিজ্ঞান ও তথ্য ব্যবস্থা বিভাগের এক শিক্ষার্থী বলেন, উপাচার্য স্যার আমাদেরকে আশ্বাস দিয়েছেন নবায়ন ফি এক হাজার ৫০০ টাকা নেওয়ার কিন্তু এখন কেন চার হাজার টাকা দেওয়ার জন্য নোটিশ দিয়েছে। এমনিতেই সবকিছুর দাম ঊর্ধ্বগতি বাজারে তার উপরে হলের বাড়তি ফি অতিরিক্ত বোঝা হয়ে যাচ্ছে আমাদের জন্য। 

এই শিক্ষার্থী আরো বলেন, হলে যে সমস্ত ব্যয়ের খাতগুলো দেখানো হচ্ছে তার কয়টির সুবিধা হলে আছে আমার প্রশ্ন এখানে। হলে অনেক শিক্ষার্থী রয়েছে যাদের আর্থিক অবস্থা খুব বেশি ভালো না। তাদের জন্য এ অতিরিক্ত ফি বাড়তি চাপ সৃষ্টি করবে ঈদের আগে। আমরা হল প্রভোস্ট এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর আবারো স্মারকলিপি এবং দরখাস্ত দিব। 

অপর এক শিক্ষার্থী বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, দীর্ঘ দিন ধরে নানা অব্যবস্থাপনার শিকার হয়ে আসছে হলের শিক্ষার্থীরা। গ্যাস,পানি, বিদ্যুৎসহ নানা সুবিধা প্রদানে গড়িমসি ভাব দেখায় হল প্রশাসন। নতুন বিজ্ঞপ্তিতে হল ক্রীড়া উন্নয়নের জন্য  টাকা নেওয়া হলেও এ পর্যন্ত কোনো ক্রীড়া প্রতিযোগিতা হয়নি, হল লাইব্রেরী উন্নয়ন ফি'র জন্য টাকা নেওয়া হলেও কোনো লাইব্রেরী নেই শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে। 

তিনি আরো বলেন, দারিদ্র্য তহবিল হতে আজ পর্যন্ত দেখিনি কোনো শিক্ষার্থী সহযোগিতা করতে। এ ধরনের ফি কেন নেওয়া হচ্ছে হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা জানতে চায়। অতি শিগগিরই হলের নবায়ন ফি কমিয়ে শিক্ষার্থীদের সার্বিক মঙ্গলের কথা চিন্তার করে পুনরায় নির্ধারণ করার জন্য জোর দাবি জানায়। 

এ বিষয়ে বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. দীপিকা রানী সরকার বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, যাদের হলের পুরাতন কার্ড আছে তারা তিন হাজার ৪০০ টাকা দিবে আর যাদের কার্ড নেই বা হারিয়ে গেছে তারা ৩ হাজার ৫০০ টাকা দিবে। আমরা হলে মেডিকেল সেন্টার স্থাপন করেছি, ডিবেটিং ক্লাবসহ অন্যান্য সবকিছু করব। 

তিনি আরো বলেন, কোন শিক্ষার্থী চাইলেই হলের নবায়ন ফি আগামী মাসের ৫, ১০, ১৫ তারিখ পর্যন্ত দিতে পারবে। আমি দায়িত্ব নিয়েছি গত কয়েক মাস আগে। হলের আগের প্রভোস্ট কি করেছে আমি জানি না, তবে আমি নতুন করে সবকিছু করব। 

বিডি প্রতিদিন/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর