রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) মাস্টার্স পরীক্ষা দিতে না পেরে বিভাগে ভাঙচুর চালিয়েছে ডিস-কলেজিয়েট শিক্ষার্থীরা। ফলে পরীক্ষা স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেয় বিভাগীয় কর্তৃপক্ষ। রবিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ফোকলোর বিভাগে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, ফোকলোর বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের মোট শিক্ষার্থী ৪৪জন। সকালে তাদের মাস্টার্সের ফাইনাল পরীক্ষা শুরু হয়। তবে ডিস-কলেজিয়েট হওয়ার কারণে পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ পায় নি ৩১ জন শিক্ষার্থী। বাকিদের নিয়ে পরীক্ষা শুরু করলে বিভাগে এসে ভাঙচুর ও সভাপতির কক্ষে তালা দিয়ে আন্দোলন করেন ডিস-কলেজিয়েট শিক্ষার্থীরা। ফলে বাধ্য হয়ে বিভাগে জরুরি সভা ডাকা হয়। সেখানে সার্বিক দিক বিবেচনা করে পরীক্ষা আপাতত স্থগিতের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
ডিস-কলিজিয়েট শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, কোর্স শিক্ষকেরা নিয়মিত ক্লাস নেন না। তারা সকালের ক্লাস বিকেলে নেন। এখন মাস্টার্সের একজন শিক্ষার্থী হয়ে একটা ক্লাসের জন্য সারাদিন বসে থাকা সম্ভব হয় না। কারণ আমাদের চাকরির পড়াশোনা করতে হয়। একটা মধ্যবৃত্ত পরিবারের সন্তান হিসেবে সেটা আমাদের ভাবতে হয়। যারা এটা করতে পেরেছে তারা কলেজিয়েট হয়েছে। তাছাড়া অনেকে শিক্ষক আমাদের অ্যাটেনডেন্স জমা দেননি। ফলে ডিসকলেজিয়েট আসছে। এমনকি আমাদের অ্যাটেনডেন্স কম সেটা ফরম পূরণের একদিন আগে জানতে পেরেছি। আগে কোন সঠিক তথ্য বিভাগ থেকে দেয়া হয়নি। অথচ আজ পরীক্ষা হচ্ছে। তাই আমরা পরীক্ষা বন্ধের দাবি জানাই।
শিক্ষকেরা বলছেন, কোর্সে নিয়মিত সব ক্লাস হয়েছে। তারা প্রথমে কেউ চাকরির পরীক্ষার জন্য মাস্টার্স করতে চায়, কেউ ব্যক্তিগত কারণে মাস্টার্স করবে না বলে জানায় এবং তারা শুরু থেকে ক্লাসে নিয়মিত ছিল না। এখন শেষে এসে বলছে পরীক্ষা দেবে, যখন কোর্সের ক্লাস প্রায় প্রায় শেষ। এমনকি তারা তখনও নিয়মিত ক্লাস করেনি বরং সেই সময় বাহিরে বসে চা খেত। তবে শিক্ষকেরা সার্বিক সহযোগিতা করেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুসারে, কোন বর্ষে নিয়মিত ক্লাস শেষ হলে ৬০% এর নিয়ে অ্যাটেনডেন্স থাকলে, সেই শিক্ষার্থীর পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ পাবে না।
সার্বিক বিষয়ে বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, এ ঘটনার পর বিভাগে জরুরি সভা হয়েছে। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়েছে এই পরীক্ষা আপতত স্থগিত থাকবে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন