রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩৫ হাজার গাছের মাঝে সুগন্ধ ছড়াচ্ছে অতি দুর্লভ কর্পূর গাছ।
ধর্মীয় আচারে ব্যবহারসহ নানা গুণের এই গাছটি বিলুপ্তির পথে। এই গাছের পাতা-ফল ও ফুলে এক ধরনের গন্ধ রয়েছে।
জানা গেছে, কর্পূর গাছে ২০ থেকে ৩০ মিটার কর্পূর পাওয়া যায়। কর্পূরের স্বাদ তেতো, তবে এটি সুগন্ধি ও রং সাদা। সাধারণত গাছের বীজ থেকে চারা তৈরি করা হয়। শক্ত ও নরম কাঠের ডাল কেটে কলম করেও চারা তৈরি করা যায়।
এর ওষুধি গুণের মধ্যে রয়েছে ত্বকে অ্যালার্জি সমস্যা দূর করা, পানিতে কর্পূরের তেল ফেলে গোসল করলে অ্যালার্জি কমে যায়। নখে ফাঙ্গাস সংক্রমণও ঠেকায়, ক্যান্ডিডা প্যারাপসিলোসিস, ট্রাইকোফাইটন মেন্টাগ্রোফাইটস জাতীয় ছত্রাকের সংক্রমণ দূরে রাখে।
একজিমা কমানোর লোশন-ক্রিমে ব্যবহৃত হয়। বালিশে এক ফোঁটা কর্পূর তেল ফেলে রাখলে ভালো ঘুম হয়। শ্বাসনালিতে ঘা, সর্দিকাশিও দূর করে।
ধর্মীয় মতে কোনও অপবিত্র পদার্থ অপসারণের জন্য শরীর ধুয়ে ফেলা হয় কর্পূর দিয়ে। মৃত ব্যক্তির দেহে কর্পূর ব্যবহার করা হয়। এর গন্ধে ধর্মীয় আবহ সৃষ্টি হয়।
বাংলাদেশের ২০১২ সালের বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইনের তফসিল-৪ অনুযায়ী এ প্রজাতির গাছটি সংরক্ষিতের তালিকায় রয়েছে।
বেগম রোকেয়া বিশ্ব বিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রধান ড. তুহিন ওয়াদুদ বলেন, কর্পূর গাছ অতি দুর্লভ প্রজাতির। বেরোবি ক্যাম্পাসে শতাধিক দুর্লভ গাছ রয়েছে তার মধ্যে এটি অন্যতম। বর্তমানে গাছটি ফল ধরার অপেক্ষায় রয়েছে। তিন বছর আগে চট্টগ্রাম থেকে এই গাছের চারা এনে ক্যাম্পাসে লাগিয়েছিলেন তিনি।
বিডি প্রতিদিন/মুসা