বরিশালের ইনষ্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজির (আইএইচটি) জুনিয়র শিক্ষার্থীদের দুই দফায় মারধরের ঘটনায় এক শিক্ষার্থীর ছাত্রত্ব স্থগিত করা হয়েছে। এছাড়াও ছাত্রাবাস থেকে আট শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। সতর্ক করা হয়েছে আরও এক শিক্ষার্থীকে।
আজ সোমবার তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে আইএইচটির অধ্যক্ষ ডা. মানষ কৃষ্ণ কুন্ডু জানান। তাদের বিরুদ্ধে নেওয়া শাস্তিমূলক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠানের নোটিশ বোর্ডেও টানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
ছাত্রত্ব স্থগিত করা শিক্ষার্থী হলো-রেডিওগ্রাফি দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মো. সাজ্জাদ হোসেন।
ছাত্রবাসা থেকে বহিস্কৃত শিক্ষার্থীরা হলো-ল্যাবরেটরী তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী নাবিল মোস্তফা, ডেন্টাল তৃতীয় বর্ষের জোনায়েদ আলম অরিদ ও সাব্বির আহম্মেদ, ফার্মেসী তৃতীয় বর্ষের মো. মুকিম আলম, দ্বিতীয় বর্ষের মো. রাইসুল ইসলাম, থেরাপি তৃতীয় বর্ষের সাহিবুল ইসলাম উজ্জল, দ্বিতীয় বর্ষের মো. বেল্লাল (হৃদয়) এবং রেডিওগ্রাফি তৃতীয় বর্ষের মো. ফয়সাল আলম সুজা।
সর্তক করা শিক্ষার্থী হলো-ফিজিওথেরাপি দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মহিউদ্দিন ইভান।
আইএইচটির অধ্যক্ষ ডা. মানষ কৃষ্ণ কুন্ডু বলেন, গত ১০ নভেম্বর আইএইচএটির ছাত্রাবাসে সংঘর্ষের ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
এর মধ্যে শিক্ষার্থী সাজ্জাদকে মাদক নিরাময় কেন্দ্রে ভর্তি হয়ে সুস্থ হওয়া না পর্যন্ত তার ছাত্রত্ব স্থগিত থাকবে। আট জন শিক্ষার্থীকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে ছাত্রাবাস ছাড়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ইভানকে সতর্ক করে দেয়া হয়েছে। তার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ এলে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে।
তাদের মারধরের শিকার শিক্ষার্থী সোহেল জানান, আইএচটির শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছে। এ নিয়ে ভুল বুঝে শাস্তি পাওয়া শিক্ষার্থীরা দুই দফায় ৯ জনকে বেধড়ক মারধর করে। সবাই জখম হয়েছে। এরমধ্যে তিনজন অজ্ঞান হয়ে যায়। জড়িতদের আরও কঠোর শাস্তি হওয়া উচিত ছিলো। তবুও যা হয়েছে, আমরা মেনে নিয়েছি।
বিডি প্রতিদিন/জামশেদ