ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ আমলের সহযোগী জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষক-কর্মকর্তাদের বিচারসহ পাঁচ দফা দাবিতে উপাচার্যের কাছে স্মারকলিপি প্রদান এবং সংবাদ সম্মেলন করেছেন ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।
মঙ্গলবার দুপুরে উপাচার্যের কাছে স্মারকলিপি প্রদানের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের কাঁঠালতলায় একটি সংবাদ সম্মেলন করেন জবি শাখা সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জবি শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান হিমেল। তিনি বলেন, গত বছরের নভেম্বরে বিশ্ববিদ্যালয় সংস্কারের জন্য উপাচার্যের কাছে ২১ দফা দাবি জমা দেওয়া হলেও এখন পর্যন্ত একটি দাবিও বাস্তবায়িত হয়নি। আমাদের দাবিগুলো যদি দ্রুত পূরণ না হয়, তবে আমরা কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবো।
তিনি আরও বলেন, স্বৈরাচারের সহযোগী ছাত্রলীগের সব শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীর বিচার না হলে জবির শিক্ষাঙ্গনে সুস্থ পরিবেশ ফিরবে না। আমরা আগামী ১০ কর্মদিবসের মধ্যে এই বিষয়ে সুস্পষ্ট ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনকে আহ্বান জানাচ্ছি।
শাখা ছাত্রদলের সদস্যসচিব সামসুল আরেফিন বলেন, ফ্যাসিস্টের সহযোগী শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ ছাত্রলীগের যারা ফৌজদারি অপরাধে যুক্ত ছিলেন, তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। অন্যথায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (জকসু) সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত হবে না। তাই দ্রুত সময়ের মধ্যে বিচারকাজ সম্পন্ন করে জকসু নির্বচন প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করতে হবে।
ছাত্রদলের পাঁচ দফা দাবিগুলো—
১. অবিলম্বে আবাসিক ভাতা (সম্পূরক বৃত্তি) প্রদান ও ১ জুলাই ২০২৫ তারিখ থেকে থেকে বৃত্তি কার্যকর গণ্য করা। পাশাপাশি মুক্তমঞ্চে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের অবহিত করা।
২. বিশ্ববিদ্যালয়ের সাত একর নিজস্ব জমিতে এক মাসের মধ্যে অস্থায়ী আবাসন নির্মাণকাজ শুরু করে ছয় মাসের মধ্যে তা সম্পন্ন করা।
৩. আগের স্মারকলিপির পরিপ্রেক্ষিতে তালিকাভুক্ত ছাত্রলীগের শিক্ষার্থী এবং নতুন তালিকায় ‘ফ্যাসিবাদের দোসর’ হিসেবে উল্লিখিত ৬৮ শিক্ষক ও ২৩ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া।
৪. বিশ্ববিদ্যালয়ে অবৈধভাবে নিয়োগপ্রাপ্তদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া।
৫. বিচারের পর স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচন দ্রুত সম্পন্ন করা।
বিডি প্রতিদিন/কেএ