মেধাবীদের অংশগ্রহণে প্রতিযোগিতা ‘ব্যাটেল অব মাইন্ডস’-এর ২১তম সংস্করনের চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের টিম পারডন আস, কামিং থ্রু। প্রথম রানার্স আপ হয়েছে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে তৈরি টিম সিডসিঙ্ক। এবারের সংস্করণে ৭০টিরও বেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩ হাজার ৭ শ’রও বেশি প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করেন। বৃহস্পতিবার রাজধানীর এক অভিজাত হোটেলে এর গ্র্যান্ড ফিনালে অনুষ্ঠিত হয়।
অংশগ্রহণকারী অপর চার দলকে হারিয়ে চূড়ান্ত বিজয়ী হওয়ার গৌরব অর্জন করে পারডন আস, কামিং থ্রু। এ বছর প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীদের দু’টি চ্যালেঞ্জ থেকে একটি বেছে নিতে বলা হয় - প্রোডাক্ট বা এআই রেভ্যুলেশন। বাংলাদেশ থেকে বিজয়ী দলটি বৈশ্বিক পর্বে ২৫টি দেশের বিজয়ী দলের সাথে প্রতিযোগিতা করবে। বৈশ্বিক পর্বের বিজয়ীরা তাদের উপস্থাপিত ধারণা বাস্তবায়নের জন্য সিড ফান্ড হিসেবে ৫০ হাজার ব্রিটিশ পাউন্ড পাবে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান। তিনি তরুণদের ক্ষমতায়নের রূপান্তরমূলক শক্তির পাশাপাশি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনার ক্ষেত্রে তাদের সম্ভাবনার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। এছাড়া তিনি তরুণদের বাস্তব অভিজ্ঞতা প্রদান এবং তাদের উদ্ভাবনী ক্ষমতা ও নেতৃত্বকে উদ্বুদ্ধ করতে ভূমিকা রাখার জন্য ‘ব্যাটেল অব মাইন্ডস’-এর প্রশংসা করেন।
টিম পারডন আস, কামিং থ্রু-এর আইডিয়া হলো কাঁঠালের স্বাদকে নতুন রূপে নিয়ে এসেছে জ্যাকো ন্যাচারাল জ্যাকফ্রুট চিপস। ক্লাসিক সেভরি, আচারি টুইস্ট, বিবিকিউ ডিলাইট ও গ্রিলড চিজ সুস্বাদু এসব ফ্লেভারের স্বাস্থ্যকর সুপার-স্ন্যাকটিতে রয়েছে পুষ্টিগুণে ভরপুর উপাদান, সাথে দুর্দান্ত স্বাদ। এ টিমের সদস্য হলো মো নাহিয়ান হাসান, রিদাহ্ তারান্নুম মেহমুদ ও আদীবা রুকাইয়া হাসান।
উল্লেখ্য, ব্যাটেল অব মাইন্ডস প্রতিযোগিতা ২০০৪ সাল থেকে তরুণদের প্রতিভা বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। এ প্রতিযোগিতা তরুণদের উদ্ভাবনী ধারণা, অগ্রণী প্রযুক্তি ও দূরদর্শী সমাধানের মাধ্যমে পৃথিবীতে ইতিবাচক পরিবর্তন নিয়ে আসার সুযোগ প্রদান করছে। ধারাবাহিকভাবেই, ‘ব্যাটেল অব মাইন্ডস’ -এর অ্যালামনাইরা তাদের কাজের জন্য খ্যাতি অর্জন করেছেন এবং স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ক্ষেত্রে নেতৃত্বদায়ক ভূমিকা পালন করছেন। ব্যাটেল অব মাইন্ডসের প্রায় ২ হাজার সদস্যের একটি সমৃদ্ধ ও বিস্তৃত নেটওয়ার্ক রয়েছে। এ নেটওয়ার্কের সদস্যরা বিভিন্ন পেশাগত ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছেন।
বিডি-প্রতিদিন/শআ