শনিবার, ২২ আগস্ট, ২০১৫ ০০:০০ টা

বুয়েট স্থাপত্যশৈলী

বুয়েট স্থাপত্যশৈলী

সন্ত্রাসবিরোধী ঐক্যের প্রতীক \'সনি স্মৃতিফলক\'

আবাসিক হল : শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের আবাসনের জন্য এই বিশ্ববিদ্যালয়ে আটটি হল রয়েছে। এগুলো হলো- আহসানউল্লাহ হল (আসন সংখ্যা : ৪৮৫), তিতুমীর হল (৩৩৬), কাজী নজরুল ইসলাম হল (২৮০), ছাত্রী হল (৩০৪), শেরেবাংলা হল (৩৩০), সোহরাওয়ার্দী হল (৩২৫), ড. এম. এ. রশীদ হল (৪৬৮), শহীদ স্মৃতি হল (৩৩০)। এর মধ্যে শহীদ স্মৃতি হল তরুণ শিক্ষকদের জন্য বরাদ্দকৃত। হলগুলো বিভিন্ন সময়ে তৈরি যে কারণে বিভিন্ন হল বিভিন্ন স্থাপত্যশৈলীর নিদর্শন বহন করে। প্রতিটি হলের তত্ত্বাবধানে থাকেন একজন প্রভোস্ট এবং তিনজন সহকারী প্রভোস্ট। সিনিয়র শিক্ষকদের মধ্য থেকে প্রভোস্ট নির্বাচন করা হয়।

 

সনি স্মৃতিফলক : এই স্মৃতিফলক হলো ক্যাম্পাসে সন্ত্রাসবিরোধী ঐক্যের প্রতীক। বুয়েট ছাত্রী সাবেকুন নাহার সনির স্মরণে এটি নির্মাণ করা হয়। সনির জন্ম ১৯৮০ সালের ১৬ ডিসেম্বর। তিনি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শেষ করেন চট্টগ্রাম থেকে। কৃতিত্বের সঙ্গে পাস করার পর ১৯৯৯ সালে ভর্তি হন বুয়েটের কেমিকৌশল বিভাগে। তাদের ব্যাচের নাম ছিল : স্বাপ্নিক' ৯৯। ভর্তি হওয়ার পর কিছুদিন হলে থাকলেও পরে পরিবার সঙ্গে ক্যাম্পাসের বাইরে থাকতেন। স্বাপ্নিক '৯৯ ব্যাচের লেভেল পূর্তি উৎসবের আয়োজন উপলক্ষে ২০০২ সালের ৮ জুন ক্যাম্পাসে এসেছিলেন সনি। দুপুরে টেন্ডার নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে ছাত্রদল ক্যাডার টগর আর মুকী গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষের মাঝে পড়ে আহসানউল্লাহ হলের সামনে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন সনি। প্রতি বছর এ দিবসটিকে পালন করা হয় 'সন্ত্রাসবিরোধী ছাত্র দিবস' হিসেবে।

 

শহীদ মিনার : ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনে শহীদদের স্মরণে বুয়েটের এই শহীদ মিনার নির্মিত হয়েছে। ১৯৮২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি বুয়েটের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ওয়াহিদ উদ্দিন আহমেদ এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের বহু আন্দোলন-সংগ্রাম শহীদ মিনারকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে।

 

সর্বশেষ খবর