নওগাঁয় শিশু আইনে পৃথক দুই মামলায় এক মেয়েসহ দুইজনকে ৫ বছর ও ১০ বছর করে আটকাদেশ দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে নওগাঁর শিশু আদালতের-২ এর বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মো. মেহেদী হাসান তালুকদার এ রায় প্রদান করেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালের ২১ আগস্ট রাত সাড়ে ১১টায় নওগাঁর পত্নীতলা থানার বাগমার গ্রামের আব্দুল জব্বারের ছেলে বারিকে একই গ্রামের ১৬ বছরে শিশু মেয়ে তার শয়ন ঘরে ডেকে নেয়। এরপর মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য বারিকের পুরুষাঙ্গ চার ভাগের তিন ভাগ কেটে দেয়। ঘটনায় বারিকের বাবা পত্নীতলা থানায় অভিযোগ করলে তদন্ত শেষে ঘটনার সত্যতা থাকায় অভিযুক্ত শিশুর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।
আদালত ১১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে মঙ্গলবার রায়ের জন্য দিন ধার্য করেন। অভিযুক্ত শিশুর উপস্থিতিতে তাকে ৫ বছর আটকাদেশের রায় পড়ে শোনানো হয় এবং অভিযুক্ত শিশু বর্তমানে প্রাপ্ত বয়স্ক ২৬ বছর হওয়ায় তাকে সাজা পরোয়ানা মূলে জেলা কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন নওগাঁর শিশু আদালত-২ এর বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মো. মেহেদী হাসান তালুকদার।
এদিকে, ২০১৩ সালের ৭ জুন বেলা সাড়ে ১১টায় নওগাঁর সাপাহার থানার বিদ্যানন্দী গ্রামের বিননকান্দেরা মাঠে পাওনা টাকা নিয়ে কুদরত আলী ও অভিযুক্ত শিশু সুমনের (১৬) মধ্যে ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে কুদরতকে অভিযুক্ত শিশু সুমন কোলে তুলে মাটিতে আছাড় দেয়। গুরুতর আহতবস্থায় কুদরতকে সাপাহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মৃত কুদরতের বাবা সাপাহার থানায় অভিযোগ করলে তদন্ত শেষে ঘটনার সত্যতা থাকায় অভিযুক্ত শিশু সুমনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। আদালত সাতজন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আজ রায়ের জন্য দিন ধার্য করেন।
অভিযুক্ত শিশুর উপস্থিতিতে তাকে ১০ বছর আটকাদেশের রায় পড়ে শোনানো হয় এবং অভিযুক্ত শিশু বর্তমানে প্রাপ্ত বয়স্ক (২৭) হওয়ায় তাকে সাজা পরোয়ানা মূলে জেলা কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন নওগাঁর শিশু আদালত-২ এর বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মো. মেহেদী হাসান তালুকদার।
বিডি প্রতিদিন/এমআই