সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলায় বাসের সাথে সিএনজি অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে এক যুবক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো চার জন। আজ রবিবার সকাল ৯টার দিকে উপজেলার হেতিমগঞ্জের কায়স্থগ্রাম-নাসাগঞ্জ নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এদিকে একই উপজেলার ফুলবাড়ী ইউনিয়নের হাজীপুর লামাপাড়ায় এক অটোরিকশাচালক আত্মহত্যা করেছেন। সকালে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
দুর্ঘটনায় নিহত আব্দুল ওয়াদুদের (৩০) বাড়ি উপজেলার সদর ইউনিয়নের রানাপিং চন্দনভাগ গ্রামে। আত্মহত্যা করা আফজল হোসেন (২২) উপজেলার বাদেপাশা ইউপির উজান মেহেরপুর গ্রামের মৃত ছমির আলীর ছেলে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্র জানায়, রবিবার সকাল ৯টার দিকে সিলেট থেকে ছেড়ে আসা একটি বাসের সাথে হেতিমগঞ্জের কায়স্থগ্রাম-নাসাগঞ্জ নামক স্থানে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি সিএনজি অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন আব্দুল ওয়াদুদ। দুর্ঘটনায় অটোরিকশাচালক লিটন আহমদসহ অপর তিনজনকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তন্মধ্যে লিটনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
গোলাপগঞ্জ থানার ওসি একেএম ফজলুল হক শিবলী বলেন, দুর্ঘটনার পর পুলিশ বাসটি জব্দ করেছে। দুমড়ে মুচড়ে যাওয়া অটোরিকশাটিও থানায় এনে রাখা হয়েছে।
এদিকে, পেশায় অটোরিকশাচালক আফজল হোসেন গোলাপগঞ্জ উপজেলার লামাপাড়ার হাজী আব্দুল মালিকের বাড়িতে ভাড়াটিয়া হিসেবে থাকতেন। সকালে অনেক ডাকাডাকির পরও তিনি ঘুম থেকে না ওঠায় পরিবারের সদস্যরা পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ দরজা ভেঙে ঘর থেকে আফজলের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে।
থানার ওসি একেএম ফজলুল হক শিবলী বলেন, কি কারণে তিনি আত্মহত্যা করেছেন, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার