১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৯:৪৬
তিনদিন লাশ আইসিইউতে রাখার অভিযোগ

স্বজনদের সাথে হাসপাতালের নিরাপত্তাকর্মীদের সংঘর্ষ

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট

স্বজনদের সাথে হাসপাতালের নিরাপত্তাকর্মীদের সংঘর্ষ

ভুল চিকিৎসা ও বিল বাড়ানোর জন্য তিনদিন লাশ আইসিইউতে রাখার অভিযোগ এনে সিলেট নগরীর জালালাবাদ রাগীব-রাবেয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে হামলা করেছেন রোগীর স্বজনরা। একপর্যায়ে হাসপাতালের নিরাপত্তারক্ষীদের সাথে রোগীর স্বজনদের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হন। আজ বুধবার দুপুর ২টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। এর জের ধরে রোগীর স্বজন ও বিক্ষুব্ধ জনতা প্রায় একঘণ্টা সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়ক অবরোধ করে রাখেন। 

জানা যায়, জালালাবাদ রাগীব-রাবেয়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ বুধবার দুপুরে সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার বাঘা এলাকার আলাউদ্দিনের স্ত্রী ফুলজান বেগম (৭৩) মারা যান। মৃত্যুর খবর পেয়ে ফুলজানের স্বজনরা ভুল চিকিৎসার অভিযোগ তুলেন। তারা অভিযোগ করেন তিনদিন আগে ফুলজানের মৃত্যু হলেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিল বাড়ানোর জন্য লাশ আইসিইউতে রেখে দিয়েছিলেন। ওই সময় তাদের দেখতেও দেয়া হয়নি। এমন অভিযোগ এনে মৃত নারীর স্বজনরা হাসপাতালে হামলা চালালে নিরাপত্তারক্ষীদের সাথে সংঘর্ষ বাধে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। 

এদিকে, মারা যাওয়া ফুলজান বেগম সিলেট জেলা ট্রাক-কাভার্ডভ্যান-পিকআপ শ্রমিক সমিতির সহ-সম্পাদক মাহবুব আলমের মা হওয়ায় শ্রমিকরা আজ বুধবার বিকাল ৪টা থেকে সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়ক অবরোধ করেন। প্রায় একঘণ্টা সড়ক অবরোধের পর পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আশ্বাসের ভিত্তিতে তারা অবরোধ তুলে নেন।

এর আগে পেটের টিউমার নিয়ে গত বৃহস্পতিবার ফুলজান বেগম রাগীব-রাবেয়া হাসপাতালে ভর্তি হন। গত সোমবার তার অস্ত্রোপচার হয়। এরপর তাকে আইসিইউ’তে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ বুধবার দুপুরে তিনি মারা যান বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ঘোষণা দেন। তবে, নিহতের ছেলে মাহবুব আলম ও স্বামী আলাউদ্দিনের অভিযোগ, ফুলজানের ভুল অস্ত্রোপচার হয়েছে। অস্ত্রোপচারের পর তিন দিন আগেই তিনি মারা গেছেন। কিন্তু আইসিইউতে রেখে বিল বাড়ানোর পায়তারা করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। 

জালালাবাদ থানার ওসি নাজমুল হুদা খান বলেন, করোনা আক্রান্ত এক নারীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে তার স্বজন ও হাসপাতালের নিরাপত্তাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয় এবং কিছু ভাঙচুর হয়। খবর পেয়ে দ্রুত পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের বক্তব্য নিতে হাসপাতালের পরিচালক ডা. তারেক আজাদের সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। 

বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর