প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে চা বাগানের মালিকদের বৈঠক হবে আজ। শনিবার বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে এই বৈঠক অনুষ্টিত হবে। এই বৈঠককে কেন্দ্র করে শুক্রবার (২৬ আগস্ট) থেকে শ্রমিকরা মিছিল সমাবেশ বন্ধ রেখেছেন। শ্রমিকরা চেয়ে আছেন প্রধানমন্ত্রীর মুখের দিকে। তারা প্রহর গুনছেন প্রধানমন্ত্রীর ঘোষনার জন্য।
এদিকে, দৈনিক ৩০০ টাকা মজুরী বাড়ানোর দাবিতে চা বাগানে কর্মবিরতি চালিয়ে যাচ্ছেন শ্রমিকরা। আজ শনিবার আন্দোলনের ১৫তম দিনে শ্রীমঙ্গল উপজেলার ৩৯টি চা বাগানে কাজ বন্ধ ছিল। সরজমিনে উপজেলা ভাড়াউড়া, ভূরভুড়িয়া, খাইছড়া, ফুলছড়া, খেজুরি ও কাকিয়াছড়া চা বাগানে গিয়ে দেখা যায়, শ্রমিকরা কাজে না গিয়ে ধর্মঘট চালিয়ে যাচ্ছেন। তারা বাগানে কোনও মিছিল সমাবেশ করছেন না। তবে বাগানের নাটমন্দির, নাচঘর গাছের নিচে বসে তাদের চলমান কর্মবিরতি পালন করছেন।
প্রধানমন্ত্রীর সহকারি প্রেস সচিব এম এস ইমরুল কায়েস বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, গণভবনে আজ বিকেল ৪টায় এই সভা অনুষ্ঠিত হবে। সংকট নিরসনে প্রধানমন্ত্রী সরাসরি চা বাগানের মালিকদের সঙ্গে কথা বলবেন।
ভাড়াউড়া চা বাগানের শ্রমিক উষা রানী হাজরা বলেন, আমরা খেয়ে না খেয়ে ৩০০ টাকা মজুরি জন্য আন্দোলন করছি। এখন প্রধানমন্ত্রী যা বলবেন তাই আমরা মেনে নেব।
জেরিন চা বাগানের পঞ্চায়েত সভাপতি নিতাই গোয়ালা বলেন, ১৯ দিন ধরে আমরা কর্মবিরতি পালন করছি। আশাকরছি আজ বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর আমাদেরকে ভাল কিছু দিবেন। এই আশায় আমরা রয়েছি। প্রধানমন্ত্রীর মুখ থেকে কিছু শুনেই আমরা কাজে যোগ দিব।
বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক ও বালিশিরা ভ্যালি সভাপতি বিজয় হাজরা বলেন, আজ প্রতিটি ভ্যালিতে মিটিং হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী যে ঘোষণা দেবেন শ্রমিকরা তা মেনে নেবে মিটিংয়ে এটাই আলোচনা হয়েছে। আমরা প্রধানমন্ত্রীর ঘোষনার জন্য আপেক্ষা করছি।
উল্লেখ্য, দৈনিক ১২০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে দেশের চা শ্রমিকরা গত ১৩ আগস্ট থেকে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি পালন করছেন। এর আগে তারা চারদিন ২ ঘণ্টা করে কর্মবিরতি পালন করেন। সংকট নিরসনে সরকার, শ্রমিক ও মালিক পক্ষের মধ্যে কয়েক দফা বৈঠক হলেও কোন সমাধান হয়নি। সমঝোতায় আসতে পারেনি কোনও পক্ষই। সাধারণ শ্রমিকরা ৩০০ টাকা মজুরির দাবিতে তাদের আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। বর্তমানে একজন চা শ্রমিকের দৈনিক মজুরি ১২০ টাকা।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ