সাঁতরে বিশ্বরেকর্ড করা হলো না ৭০ বছর বয়সী মুক্তিযোদ্ধা ক্ষিতীশ চন্দ্র বৈশ্যের। অসুস্থ হয়ে পড়ায় মঙ্গলবার বেলা ২টায় তাকে নদী থেকে তুলে আনা হয়।
গত সোমবার সকাল সাড়ে ৬টায় সিলেট নগরীস্থ সুরমা নদীর চাঁদনীঘাট থেকে সাঁতার শুরু করেন। মঙ্গলবার বেলা ২টায় তিনি সুনামগঞ্জের হরিনাপাটি এলাকা পর্যন্ত পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছিলেন। ২৮১ কিলোমিটার অবিরাম সাঁতরে তিনি ভৈরব গিয়ে বিশ্বরেকর্ড করার লক্ষ্য স্থির করেছিলেন।
সিলেট জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার সুব্রত চক্রবর্তী জুয়েল জানান, ক্ষীতিশ চন্দ্র বৈশ্য দুপুরের দিকে দুর্বল হয়ে পড়েন। তার নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছিল। এ অবস্থায় সঙ্গে থাকা চিকিৎসক তাকে পানি থেকে উঠে আসার পরামর্শ দেন। প্রথমে রাজি না হলেও সবার অনুরোধে তিনি শেষ পর্যন্ত পানি থেকে উঠে আসেন। এর আগে তিনি প্রায় অবিরাম ৩২ ঘন্টা সাঁতার কাটেন। তাঁর নির্ধারিত গন্তব্য ভৈরত পৌঁছাতে ৭০ ঘন্টা সময় লাগতে পারে বলে জানিয়েছিলেন ক্ষিতীশ চন্দ্র বৈশ্য।
প্রসঙ্গত, ক্ষিতীন্দ্র চন্দ্র বৈশ্য একজন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা। ২০১২ সালের মে মাসে অবসর গ্রহণ করলেও এখনো কনসালট্যান্ট হিসেবে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের অধীনে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগে কাজ করছেন। ছাত্রজীবন থেকে সাঁতার তার নেশা। তিনি একজন অবিরাম শৌখিন সাঁতারু।
ক্ষিতীন্দ্র ১৯৫২ সালের ২৩ মে নেত্রকোণার মদন উপজেলার জাহাঙ্গীরপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি সিলেটের এমসি কলেজ থেকে পদার্থবিদ্যায় স্নাতক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একই বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল