মাত্র ৬ সেকেন্ডেই যে কোনো ধরনের তালা ভেঙে বা খুলে চুরি করত। দিনের বেলায় পুরাতন কাপড় কেনার ছদ্মবেশে মাথায় টুকরি নিয়ে বিভিন্ন বাসায় যান। টুকরিতে থাকে তালা ভাঙার সরঞ্জাম। টার্গেট করেন বাইরে থেকে তালাবন্ধ বাসাকে। অল্প সময়ে চুরি করে সটকে পড়ে। জাহাঙ্গীর আলম (৪০) নামে এক চোর এ ঘটনা ঘটাত।
বুধবার দুপুরে কোতোয়ালী থানায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন।
এর আগে বুধবার ভোরে কোতোয়ালী থানাধীন পুরাতন স্টেশন রোড থেকে জাহাঙ্গীর আলম ও তার সহযোগী রেহেনা বেগম (৪৫) গ্রেফতার করে পুলিশ।
জাহাঙ্গীর আলম চন্দনাইশ উপজেলার ইসলামিয়াবাদ পশ্চিম কেশুয়া এলাকার নুরুল ছফার ছেলে। রেহেনা বেগম পটিয়া উপজেলার জংশনপাড়া এলাকার জানে আলমের স্ত্রী। এসময় তাদের কাছ থেকে ১৪৫টি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের চোরাই মোবাইল, ১০৬ জোড়া জুতা, কাপড়সহ বিভিন্ন চোরাই মালামাল উদ্ধার করা হয়।
এদিকে চুরি ও তালা ভাঙার কৌশল সম্পর্কে পুলিশের কাছে স্বীকার করেন জাহাঙ্গীর আলম। কীভাবে তালা ভাঙেন তাও দেখান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে ওসি বলেন, ‘নগরের বিভিন্ন থানা এলাকায় চুরি করে বেড়ায় জাহাঙ্গীর। বিশেষ করে সকালে বা দুপুরে চুরি করে থাকে। বাসা তালাবদ্ধ করে বাচ্চাকে স্কুল থেকে আনতে গেলে ওই সময়টাকে বেছে নেয় চুরির জন্য। মাত্র ৬ সেকেন্ডেই যে কোনো ধরনের তালা ভাঙা বা খুলতে সক্ষম জাহাঙ্গীর। দিনের বেলা পুরাতন কাপড় কেনার ছদ্মবেশে মাথায় টুকরি নিয়ে বিভিন্ন বাসায় যান। টুকরিতে থাকে তালা ভাঙার সরঞ্জাম। টার্গেট করেন বাইরে থেকে তালাবন্ধ বাসাকে। অল্প সময়ে চুরি করে সটকে পড়েন।’
এদিকে, বুধবার ভোরে রেয়াজউদ্দিন বাজার এলাকায় কোতোয়ালি থানা পুলিশ ধারালো অস্ত্রসহ অলি উল্লাহ মামুন অলি (২৩) ও মো. কামরুল হাসানকে (২৫) গ্রেফতার। অলি উল্লাহ মামুন সাতকানিয়া উপজেলার পূর্ব গাটিয়াডাঙ্গা চরপাড়া এলাকার আবু তাহেরের ছেলে ও কামরুল একই উপজেলার কালিয়াইশ পশ্চিম কাঠগড় এলাকার মীর আহমদের ছেলে।
ওসি বলেন, ‘অলি উল্লাহ ও কামরুল রেয়াজউদ্দিন বাজার এলাকায় যে কোনো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড ভাড়ায় খাটেন। অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে জায়গা দখল, দোকান দখল থেকে শুরু করে যে কোনো কাজ করেন। তাদের কিছু বড় ভাইয়ের মধ্যে কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যদেরও গ্রেফতারের চেষ্ট চলছে।’
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন