২০ আগস্ট, ২০১৯ ১৯:৫৯

হালদার পোনা পরিচর্যার ‘মডেল পুকুর’ পরিদর্শন করলেন জেলা প্রশাসক

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম:

হালদার পোনা পরিচর্যার ‘মডেল পুকুর’ পরিদর্শন করলেন জেলা প্রশাসক

উপমহাদেশের অন্যতম প্রাকৃতিক মৎস্যপ্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদীতে কার্প জাতীয় মাছ বৃদ্ধির লক্ষ্যে পোনা পরিচর্যার মডেল পুকুর পরিদর্শন করেছেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন।

মঙ্গলবার দুপুরে হাটহাজারী উপজেলার গড়দুয়ারা ইউনিয়নের নোয়াহাট এলাকার পুকুরটি তিনি পরিদর্শন করেন। এরপর হালদা নদী সংলগ্ন গড়দুয়ারা ইউনিয়নের নোয়াহাট এলাকায় হাটহাজারী উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আয়োজিত ‘হালদা নদীর দূষণরোধ ও জীববৈচিত্র রক্ষায় জনসচেতনতা কার্যক্রম এবং মতবিনিময়’ সভার আয়োজন করা হয়। 

সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ইলিয়াস হোসেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রুহুল আমীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন হাটহাজারী উপজেলা চেয়ারম্যান এস. এম রাশেদুল আলম, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় হালদা রিচার্স ল্যাবরেটরির সমন্বয়ক অধ্যাপক ড. মনজুরুল কিবরিয়া, সহকারী কমিশনার (ভূমি) সম্রাট খীসা, ভাইস চেয়ারম্যান নুরুল আলম নুরুল আলম বাসেক, গড়দুয়ারা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সরোয়ার মোর্শেদ, উত্তর মাদার্শা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মঞ্জুর হোসেন চৌধুরী মাসুদ, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা নিয়াজ মোর্শেদ প্রমুখ।

জেলা প্রশাসক ইলিয়াস হোসেন বলেন, ‘হালদা কেবল চট্টগ্রাম নয়, দেশের সম্পদ। এটিকে সব ধরণের বর্জ্য থেকে রক্ষা করা আমাদের সকলের দায়িত্ব। এ নদী রক্ষা পেলে দেশে কার্প জাতীয় মাছের পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে।’ তিনি বলেন, হালদা নদীর পোনা হালদায় ফেলার উদ্যোগটি প্রশংসনীয়। মানসম্পন্ন হালদার পোনা হালদাতে ছাড়া হলে মাছের পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে।’

প্রসঙ্গত, হালদার পোনা হালদা নদীতে ফেলার জন্য এবার প্রথমবারের মত হাটহাজারী উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ‘দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদীর কার্প জাতীয় মা মাছের মজুদ বৃদ্ধির লক্ষ্যে মাছের পোনা অবমুক্তকরণ’ শীর্ষক প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। প্রকল্পের মেয়াদ ধরা হয় গত ৩০ এপ্রিল থেকে ৩০ আগস্ট। গত ২৫ মে ডিম ছাড়ার পর স্থানীয়রা সেই ডিম সংগ্রহ করে হ্যাচারি অথবা মাটির তৈরি কুয়ায় স্থানীয় পদ্ধতিতে রেণু উৎপাদন করে। উৎপাদিত এক কেজি রেণু ক্রয় করে গত জুন থেকে গড়দুয়ারা ইউনিয়নের একটি পুকুরে নিবিড় পরিচর্যা করা হয়। ৬ ইঞ্চি বা তার বেশি আকার ধারণ করলে তা হালদা নদীতে অবমুক্ত করা হবে।

বিডি প্রতিদিন/মজুমদার

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর