চট্টগ্রামে যৌতুকের দাবি করে নির্যাতন করার পৃথক দুই মামলায় দুই জনকে এক বছর করে কারাদণ্ড, পাঁচ হাজার টাকা করে জরিমানা এবং অনাদায়ে আরো এক মাস কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। বুধবার চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট-৬ মেহনাজ রহমানের আদালত এ আদেশ দেন। নির্যাতিতদের পক্ষে বিনামূল্যে আইনি সহায়তা দেয় চট্টগ্রাম জেলা লিগ্যাল এইড কার্যালয়।
লিগ্যাল এইডের প্যানেল আইনজীবী মুরশিদা বেগম বেবী বলেন, ‘যৌতুকের দাবিতে দায়ের করা পৃথক দুটি মামলায় দুই আসামিকে একবছর করে কারাদণ্ড, পাঁচ হাজার টাকা করে জরিমানা এবং অনাদায়ে আরো এক মাস কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। মামলা দুটি সরকারি খরচে পরিচালিত হয়।’
লিগ্যাল এইড কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালের ১১ ডিসেম্বর কর্ণফুলি উপজেলার আজিম পাড়ার বাসিন্দা খালেদা আক্তারের সঙ্গে রাঙ্গুনিয়ার ইছাখালীর গুচ্চগ্রামের বাসিন্দা রমজান আলীর পুত্র অটোরিক্সা চালক মো. শাকিলের (২৩) বিয়ে হয়। বিয়ের পর দাম্পত্য জীবন ভাল চললেও এক বছরের মাথায় একটি অটোরিক্সা কেনার জন্য দুইলাখ টাকা যৌতুক দাবিতে খালেদার উপর চাপ প্রয়োগ করেন। খালেদার দরিদ্র পিতার পক্ষে এ টাকা দেওয়া অসম্ভব বলা হলে শুরু হয় নির্যাতন। পরে বের করে দেয় ঘর থেকে। গত ২০১৭ সালেল ১৮ ডিসেম্বর লিগ্যাল এইড অফিসের মাধ্যমে মামলা দায়ের করেন খালেদা। মামলায় আসামী গ্রেফতার হলেও পরে জামিনে বের হয়ে যায়। গত ৪ জুলাই আসামীর বিরুদ্ধে আদালত চার্জ গঠন করেন এবং ৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যের ভিত্তিতে আসামীকে এক বছর সশ্রম কারাদন্ড ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরো এক মাসের কারাদণ্ড দেন।
অন্যদিকে, নগরের পাঠানটুলির ২ নং রেল গেইট এলাকার এজাহার মিয়া সও. বাড়ির মুন্নি বেগম (৩৬) একই এলাকার মো. শফির বিরুদ্ধে দুই লাখ টাকা যৌতুক দাবির অভিযোগেএকটি মামলা দায়ের করেন। আদালত চার্জ গঠন এবং স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য গ্রহণ করে আসামিকে এক বছররের কারাদণ্ড ও পাচঁ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরো এক মাস কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার