চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) ২০২৫-২৬ অর্থ বছরে মশকনিধনের জন্য বরাদ্দ রেখেছে মাত্র ৯ কোটি টাকা। এর আগের অর্থ বছরেও বরাদ্দ রাখা হয়েছিল মাত্র ৮ কোটি। অথচ সারাবছরই এডিস মশার কামড়ে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।
তবে নগরের অন্যতম প্রধান সমস্যা জলাবদ্ধতা নিরসনে এবার বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে। এবার বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৮৮ কোটি টাকা। গত অর্থ বছরে রাখা হয়েছিল ৩৩ কোটি টাকা। চসিক সোমবার দুপুরে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য ২ হাজার ১৪৫ কোটি ৪২ লাখ টাকার বাজেট ঘোষণা করে।
সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রামে বছরজুড়েই থাকে ডেঙ্গুর সংক্রমণ। গত রবিবার একদিনে চট্টগ্রামে সাতজন ডেঙ্গু আক্রান্ত হন। এর মধ্যে ৩ জন পুরুষ, তিনজন মহিলা ও একজন শিশু। চলতি জুন মাসে মোট আক্রান্ত হয় ৯৪ জন, চলতি বছর মোট আক্রান্ত হন ৩৬৩ জন এবং মারা যান দুইজন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নগরের বিভিন্ন এলাকায় এখনও অনেক উন্মুক্ত স্থান আছে, যেখানে এডিস মশা জন্ম নেয়। তাছাড়া, নগরের অধিকাংশ নালা-নর্দমা ও ড্রেন বর্জ্যে ভরপুর। এগুলো নিয়মিত পরিষ্কার করা হয় না। ফলে এসব স্থানে জন্ম নেয় এডিস মশা। চসিক নালা-নর্দমা ও ড্রেনগুলো নিয়মিত পরিষ্কারের কথা বলে আসলেও বাস্তব চিত্র ভিন্ন। প্রতিনিয়তই নালা-নর্দমা ও ড্রেনগুলো বর্জ্যে ভরপুর থাকে। অনেক এলাকার খোলা স্থানে ময়লা ও কুচকুচে কালো পানি জমে থাকে। সেদিকে চসিকের কোনো নজর নেই।
বাজেট অধিবেশনে চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, ১৯টি খাল থেকে ১০ কোটি ৯২ লাখ টাকা ব্যয়ে ৪১ লাখ ঘনফুট মাটি ও আবর্জনা অপসারণ করা হয়েছে। নালা-নর্দমা পরিষ্কারের ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৪৮টি প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়েছে। বর্ষায় আরও ২০০টি প্রকল্প বাস্তবায়নের পরিকল্পনা আছে। মশকনিধনে আধুনিক পদ্ধতি ও আমেরিকান প্রযুক্তির লার্ভিসাইড ব্যবহার শুরু হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই