১৩ নভেম্বর, ২০১৯ ২০:২৫
গ্রাম আদালত বিষয়ক অনুষ্ঠানে বক্তারা

মামলার জট কমাতে সহায়ক গ্রাম আদালত

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম:

মামলার জট কমাতে সহায়ক গ্রাম আদালত

চট্টগ্রামের স্থানীয় সরকার উপ-পরিচালক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীতি বলেন, ‘কার্যকর ও সক্রিয় গ্রাম আদালত গ্রামীণ ছোট খাটো বিরোধ-বিবাদ নিস্পত্তির মাধ্যমে সমাজে স্থায়ী শান্তি-শৃঙ্খলা নিশ্চিতকরণ এবং উচ্চ আদালতের মামলার জট কমাতে ব্যাপক ভূমিকা রাখছে।’ গ্রাম আদালত আইন অনুযায়ী বর্তমানে দেশের সকল ইউনিয়নে এই আইন অনুযায়ী গ্রাম আদালত চলমান রয়েছে। কিন্তু অবকাঠামোগত দুর্বলতা, দক্ষতার ঘাটতি, প্রয়োজনীয় তদারকি ও  সচেতনতামূলক কার্যক্রমের অভাবে সকল ইউনিয়ন পরিষদে এ আদালতের কার্যক্রম সমানভাবে চলছে না।’  

বুধবার দুপুরে নগরের একটি হোটেলে আয়োজিত ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও প্যানেল চেয়ারম্যানদের গ্রাম আদালত বিষয়ে সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে আয়োজিত দুইদিনব্যাপি প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।     

সভায় জেলা পর্যায়ের প্রশিক্ষণ কোর্সে রিসোর্স পারসন হিসাবে বক্তব্য রাখেন জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার ও সিনিয়র সহকারী জজ ফারহানা ইয়াছমীন। উপস্থিত ছিলেন যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সালেহ আহাম্মদ চৌধুরী, সমাজ সেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক অঞ্জণা ভট্টাচার্য্য এবং ইউএনডিপি’র ডিস্ট্রিক্ট ফ্যাসিলিটেটর উজ্জ্বল কুমার দাস চৌধুরী প্রমুখ।      

ইয়াছমিন পারভীন তিবরীতি বলেন, ‘গ্রাম আদালত পরিচালনার জন্য ইতোমধ্যে এজলাস স্থাপন করা হয়েছে, প্রয়োজনী ফার্নিচার, উপকরণ ও সহায়ক সামগ্রী সরবরাহ করা হয়েছে। প্রকল্পভ‚ক্ত ইউনিয়নে আদালত সহকারী নিয়োগ দেয়া হয়েছে। আদালত সংশ্লিষ্টদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন প্রশিক্ষণ/কর্মশালা পরিচালনা করা হয়েছে। উদ্ধুদ্ধকরণ কার্যক্রম চলমান আছে। সপ্তাহে এক/দুই দিন গ্রাম আদালতের জন্য নির্ধারিত হয়েছে। এখন গ্রামীণ জনগণের জন্য এ  সেবা সম্প্রসারণ ও সহজলভ্য করা জরুরি। এজন্য ইউনিয়ন পরিষদ সচিব ও  গ্রাম আদালত সহকারীগণ নিয়মিত গ্রাম আদালত পরিচালনায় সহযোগিতা, মামলার নথিপত্র প্রস্তুত ও সংরক্ষণ, জন সচেতনতা সৃষ্টি ও সম্পৃক্ততা বৃদ্ধিকরণ, গ্রাম আদালতকে নারী বান্ধবকরণ এবং নিয়মিত প্রতিবেদন প্রেরণে ভূমিকা রাখছেন।’

ইউএনডিপি’র ডিস্ট্রিক্ট ফ্যাসিলিটেটর উজ্জ্বল কুমার দাস চৌধুরী বলেন, ‘মানসম্মত, সক্রিয় ও কার্যকর গ্রাম আদালত পরিচালনার জন্য বাংলাদেশ সরকার, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও জাতিসংঘ উপন্নয়ন কর্মসূচি’র (ইউএনডিপি) আর্থিক সহায়তায় স্থানীয় সরকার বিভাগ বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ (পর্যায়-২) প্রকল্প কার্যক্রম দেশের ১০৮০টি ইউনিয়নে বাস্তবায়ন করছে।

চট্টগ্রাম জেলার ৫টি উপজেলার (সীতাকুন্ড, সন্দ্বীপ, ফটিকছড়ি, সাতকানিয়া ও লোহাগাড়া) ৪৬টি ইউনিয়ন এ প্রকল্পের কার্যক্রম চলমান আছে।’

বিডি প্রতিদিন/মজুমদার

 

 

সর্বশেষ খবর