.png)
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোেেনর (চসিক) সঙ্গে নগরের হোটেল-রেস্টুরেন্টের মালিক সমিতির ‘তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়ন’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। বুধবার দুপুরে চসিকের সম্মেলন কক্ষে ক্যাম্পেইন ফর ট্যোবেকো ফ্রি কিডস্ (সিটিএফকে) ও ইপসার সহযোগিতায় আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন চসিকের প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা সুমন বড়ুয়া।
চসিকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও তামাক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমের ফোকাল পার্সন আফিয়া আখতারের সভাপতিত্বে এবং ইপসার প্রোগ্রাম অফিসার মো. ওমর শাহেদ হিরোর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন সিটিএফকের গ্র্যান্টস ম্যানেজার মো. আবদুস সালাম মিয়া, বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির চট্টগ্রাম মহানগরের সভাপতি ইলিয়াস আহমেদ ভুইয়া, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদুল হান্নান বাবু প্রমুখ। সভায় ইপসার পরিচালিত জরিপ উপস্থাপন করেন ইপসার উপ পরিচালক নাছিম বানু।
প্রধান অতিথি সুমন বড়ুয়া বলেন, ‘ধূমপান ও তামাকের ব্যবহার সম্পর্কে মানুষ আগের থেকে অনেক বেশি সচেতন হয়েছে। তামাক আইন বাস্তবায়নে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। কিন্তু ইপসার জরিপ বলছে, রেস্টুরেন্ট থেকে শুরু করে বিভিন্ন পাবলিক প্লেসে এখনো ধূমপান হচ্ছে। চট্টগ্রামকে তামাকমুক্ত মডেল শহর হিসেবে গড়ে তুলতে রেস্তোরাঁ মালিকদের সহযোগিতা প্রয়োজন। এছাড়া হোটেল-রেস্টুরেন্টে তামাকপণ্যের বিজ্ঞাপন বন্ধে ও ধূমপান হতে বিরত থাকার সতর্কতামূলক নোটিশ নিশ্চিত করতে রেস্তোরাঁ মালিকদের ভুমিকা রাখতে হবে।’চসিকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও তামাক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমের ফোকাল পার্সন আফিয়া আখতার বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে তামাকমুক্ত দেশ হিসেবে গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। সেই অঙ্গিকার বাস্তবায়নে তামাকমুক্ত চট্টগ্রাম নির্মাণে চসিক বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। অন্যান্য অনেক পাবলিক প্লেস থেকে হোটেল-রেস্টুরেন্টে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন ভঙ্গের প্রবণতা বেশি। তাই হোটেল-রেস্টুরেন্টে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নে সকলকে উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।’
জরিপ উপস্থাপনায় নাছিম বানু বলেন, ‘চট্টগ্রামের ৯৯ শতাংশ রেস্টুরেন্টে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন ভঙ্গ হচ্ছে। ধূমপান হচ্ছে ৫০ ভাগ রেস্টুরেন্টে। এছাড়া ৯৮ শতাংশ রেস্টুরেন্টে আইন অনুযায়ী ধূমপান থেকে বিরত থাকার জন্য সতর্কতামূলক নোটিশ প্রদর্শিত হচ্ছে না।’
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার/রেজা মুজাম্মেল
