তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারীদের পদবি ও গ্রেড উন্নয়নের দাবিতে চলছে লাগাতার কর্মবিরতি। বাংলাদেশ কালেক্টরেট সহকারী সমিতির (বাকাসস) চট্টগ্রাম শাখার উদ্যোগে বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারি কমিশনার (ভূমি) কার্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারিরা চতুর্থদিনের মত কর্মবিরতি পালন করছেন। সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারিরা কর্মবিরতি পালন করেন। আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে পূর্ণ দিবস কর্মবিরতি।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিভাগীয় কমিটির সহসভাপতি স্বদেশ শর্মা, আন্দোলন বাস্তবায়ন কমিটির আহবায়ক উদয়ন কুমার বড়ুয়া চট্টগ্রাম জেলার সাধারণ সম্পাদক এসএম আরিফ হোসেন, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন ও নুরুল মুহাম্মদ কাদের। বাকাসস চট্টগ্রাম জেলার নেতাদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন প্রদীপ কুমার চৌধুরী, মো. আবদুল মন্নান, আলী আজম খান, সোয়েব মোহাম্মদ দুলু, সাদিয়া নুর, শফিউল আলম, ফজলে আকবর চৌধুরী, সায়েদুল ইসলাম, রিয়াজ উদ্দীন আহম্মদ, পুতুল দত্ত, নাসরিন আক্তর, অপর্না দাশ, সৈয়দ মোহাম্মদ এরশাদ আলম।
বক্তারা বলেন, ‘জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ভূমি অফিসে কর্মরত ১১ থেকে ১৬ গ্রেডভুক্ত কর্মচারীরা প্রশাসনিক ক্যাডার সার্ভিসের কর্মকর্তাদের সহযোগী হিসেবে অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। মাঠ প্রশাসন বিকেন্দ্রীকরণের পর বিভিন্ন দপ্তরের কর্মচারীদের পদবি ও গ্রেড উন্নীত করা হলেও একই শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা থাকা সত্ত্বেও সংশ্লিষ্ট কার্যালয়গুলোর ১১ থেকে ১৬ গ্রেডের কর্মচারীদের পদবি ও বেতন গ্রেড উন্নয়নের দীর্ঘদিনের দাবি বাস্তবায়ন হয়নি। এটা বৈষম্যমূলক আচরণ। গত বিশ বছর ধরে দাবি আদায়ে আন্দোলন করে আসলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি। তাই বাধ্য হয়ে এবার পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করছি। ২০১৮ সালে জেলা প্রশাসক সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী আমাদের দাবির প্রতি যৌক্তিক সমর্থন দিলেও এখনো বাস্তবায়ন করা হয়নি।’
বুধবার সকালে গিয়ে দেখা যায়, জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ মঞ্চ ও মাইক টাঙিয়ে অবস্থান করছেন আন্দোলনরত কর্মচারীরা। কার্যালয়ের ভেতরে-বাইরে সংগঠনটির দাবি সম্বলিত বিভিন্ন পোস্টার ও ব্যানার টাঙানো ছিল। তবে কর্মবিরতির কারণে জেলা প্রশাসনে আসা সেবা প্রত্যাশীরা নানাভাবে দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার