নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ। যুদ্ধ শেষে বিজয়। সেই বিজয় এবার পা রেখেছে ৫০ বছরে। করোনা সংক্রমণের এই সময়েও বিজয়ের স্ফুলিং ছড়িয়ে পড়েছে সবখানে। ভোরের কুয়াশাকে ভেদ করে অনেকেই এসেছেন শহীদ বেদীতে বিনম্র শ্রদ্ধা জানাতে। স্মরণ করেছে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের। এই দিনে নতুন প্রজন্মের হাতে হাতে ছিল গর্বের জাতীয় পতাকা। গায়ে লাল-সবুজের পোশাক।
আজ বুধবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত শহীদ মিনারে ছিল জনতার ঢল। স্বাধীনতার ৪৯তম বর্ষের বিজয়দিবসে বাঙালি নতুন আবহে পালন করেছে। চট্টগ্রামবাসী শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছে বাঙালির বীর সন্তানদের। সকাল ৮টায় শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেছেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার এবিএম আজাদ, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আনোয়ার হোসেন ও সিএমপি কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীরসহ সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বিজয় দিবস উপযাপন উপলক্ষে পালন করা হয় নানা কর্মসূচি। কর্মসূচির মধ্য ছিল ১৬ ডিসেম্বর সূর্যোদয়ের পর নগরের কোর্ট হিলে ৩১বার তোপধ্বনি দেওয়া, সকাল ৯টায় সার্কিট হাউজে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং সন্ধ্যায় অনলাইনে জুম মিটিং অ্যাপের মাধ্যমে ‘জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ ও ডিজিটাল প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহারের মাধ্যমে জাতীয় সমৃদ্ধি’-শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে মসজিদ, মন্দির, গির্জা ও প্যাগোডাসহ বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে দোয়া-মোনাজাত ও প্রার্থনা করা হয়। তাছাড়া চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি, ছাত্রলীগ, ছাত্রদল, যুবলীগ, ওয়ার্কার্স পার্টি, কমিউনিস্ট পার্টি, জাসদ, ন্যাপ, বাসদ, বাসদ (মার্কসবাদী), ছাত্র ইউনিয়ন, যুব ইউনিয়ন, ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র, ছাত্রমৈত্রী, যুব ইউনিয়ন, জেলা আইনজীবী সমিতি, উদীচী শিল্পী গোষ্ঠীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে নানা কর্মসূচি পালন করেছে।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ