শিরোনাম
২৩ জানুয়ারি, ২০২১ ১৭:৩১

নগর উন্নয়নে রেজাউলের ৩৭ প্রতিশ্রুতি

সাইদুল ইসলাম, চট্টগ্রাম

নগর উন্নয়নে রেজাউলের ৩৭ প্রতিশ্রুতি

পরিকল্পিত চট্টগ্রাম নগর উন্নয়নসহ নানাবিধ প্রতিশ্রুতির মধ্য দিয়েই আওয়ামীলীগের মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরীর ইশতেহার ঘোষণা করা হয়। নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসন, যানজট নিরসন, সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা, নালা-খাল-নদী থেকে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনাসহ মোট ৩৭টি প্রতিশ্রুতির বিষয় ইশতেহারে উল্লেখ রয়েছে। 

আজ শনিবার দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলরুমে ‘রূপসী চট্টগ্রাম আমার-আপনার অহংকার, অঙ্গীকার-সবার যোগে সাজবে নগর’ এই স্লোগানে চসিক নির্বাচনের মেয়র প্রার্থী হিসেবে নিজের ইশতেহার উত্তাপন করেন মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী। এই ইশতেহার ঘোষণার সময় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ও চট্টগ্রামের শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

সবার সম্মিলিত প্রয়াসে বিশ্বমানের পরিকল্পিত বাসযোগ্য নগর হিসেবে গড়তে কাজ করে যাবো জানিয়ে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, দক্ষিণ এশিয়ার প্রবেশদ্বার এই বন্দর। জাতীয় আমদানি-রফতানির ৮৫ শতাংশ চট্টগ্রাম দিয়ে পরিচালিত হয়। স্বাভাবিক কারণে চট্টগ্রাম দেশের অর্থনীতির প্রাণভোমরা।  

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ১২ বছরে চট্টগ্রাম বন্দর বিশ্বমানের আন্তর্জাতিক বন্দরে পরিণত হয়েছে। তাই চট্টগ্রাম অনেক দূর এগিয়েছে। প্রতিবেশী দেশ ভারতের ভূমিবেষ্টিত সেভেন সিস্টার, চিনের কুনমিং শহর, নেপাল ও ভুটানের আমদানি-রফতানির ট্রানজিট পয়েন্ট হিসেবে ব্যবহার হবে চট্টগ্রাম। পাশাপাশি বিশ্বের অন্যতম পর্যটন তীর্থ হিসেবে গড়ে উঠবে বৃহত্তর চট্টগ্রাম। 

তিনি বলেন, পূর্বসূরি সাবেক সিটি মেয়র প্রয়াত এ.বি.এম মহিউদ্দিন চৌধুরী যে উচ্চতায় চট্টগ্রাম নগরীকে উন্নীত করেছিলেন তা পুনরুদ্ধার করে চলমান রাখবো এবং তাঁর আমলে প্রতিষ্ঠিত আয়বর্ধক প্রকল্পগুলো পুনরায় চালু করে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনকে স্বনির্ভর ও আত্মনির্ভর করার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবো। 

ইশতেহার সূত্রে জানা গেছে, চসিক নির্বাচনী ইশতেহারে ধারাবাহিক উন্নয়ন অঙ্গীকারগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে চট্টগ্রাম নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসন। একই সঙ্গে আছেন নগরীর দখলকৃত খাল, নালা-নদী পুনরুদ্ধার ও পানি নিষ্কাশন উপযোগী করতে ১০০ দিনের মধ্যে সব ক্রুটি ও প্রতিবন্ধকতা চিহ্নিত করে তা নির্মূলে কঠোর আইন প্রয়োগ, যানজট সমস্যা থেকে উত্তরণ, সড়ক শৃঙ্খলায় ফিরিয়ে আনা, বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় আধুনিকায়ন, চট্টগ্রামকে পর্যটন নগরী হিসেবে গড়ে তোলা, প্রতিনিয়ত মশক নিধনে ক্রাশ প্রোগ্রাম অব্যাহত রাখা এবং হোল্ডিং ট্যাক্সসহ সকল ধার্য্যকৃত কর সহনীয় পর্যায়ে রাখা। 

তাছাড়া চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনকে একটি সেবামূলক ও কল্যাণ-জনমুখী স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান হিসেবে দাঁড় করানো। তবে আপনাদের সকলের মিলিত প্রচেষ্টায় অতীতের সকল ভুল বিচ্যুতি পরিহার করে চট্টগ্রামকে সর্বাধুনিক বাসোপযোগী বিশ্বমানের উন্নত ও নান্দনিক নগর হিসেবে গড়ে তুলতে চান বলে জানান তিনি।

চসিক নির্বাচনের ইশতেহার ঘোষণা শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরী, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন ও সাবেক মেয়র ও নগর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন। 

এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ও প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. অনুপম সেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর আনোয়ারুল আজিম আরিফ, আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এমএ সালাম প্রমুখ।

বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর