চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের উদ্যোগে আন্তর্জাতিকমানের ‘সিএমওএসএইচ ক্যান্সার হাসপাতাল ও রিসার্চ ইন্সটিটিউটের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে নগরের আগ্রাবাদের মা ও শিশু হাসপাতাল ক্যাম্পাসে এটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ।
ভিত্তিপ্রস্তর শেষে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ প্রধান অতিথি ছিলেন। চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের কার্যনির্বাহী কমিটির ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট সৈয়দ মোরশেদ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন ক্যান্সার হাসপাতাল বাস্তবায়ন কমিটির চেয়ারম্যান এম এ মালেক, কো চেয়ারম্যান এস এম আবু তৈয়ব, সদস্য সচিব রেজাউল করিম আজাদ, প্রাক্তন লায়ন্স জেলা গভর্নর লায়ন কামরুন মালেক, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি আবু সুফিয়ান, ডা. আঞ্জুমান আরা ইসলাম, ডা. আরিফুল আমিন, চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক হাসপাতালের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক জাহাঙ্গীর চৌধুরী, রাজনীতিবিদ আলতাফ হোসেন বাচ্চু প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ হাসপাতালটির জন্য পাঁচ কোটি টাকার অনুদান দেন। এছাড়া দৈনিক আজাদী পরিবারের পক্ষ থেকে এক কোটি টাকার চেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদের হাতে তুলে দেন এবং শিল্পপতি এস এম আবু তৈয়ব ১০ লক্ষ টাকা ও হাজী মো. শফিক আহমেদের পক্ষ হতে ১০ লক্ষ টাকা প্রদানের ঘোষণা দেন।
প্রধান অতিথি ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ বলেন, চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ক্যান্সার হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছে। আমি মনে করি এ উদ্যোগ অবশ্যই সফল হবে। আগামীতে এটি একটি বিশ্বমানের ক্যান্সার হাসপাতালে রূপান্তরিত হবে। এখানেই হবে বিশ্বমানের ক্যান্সার হাসপাতাল। তখন দেশের কাউকে আর বিদেশে যাওয়ার প্রয়োজন পড়বে না। করোনার মহামারীর কঠিন সময়ে চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল যে অবদান রেখেছে তা দেশব্যাপী প্রশংসনীয়।
তিনি বলেন, ক্যান্সার এমন একটি রোগ- কী কারণে হয়, কোথা থেকে হয়? তা বলা মুশকিল। ক্যান্সার আল্লাহ প্রদত্ত একটি রোগ। এটি এমন একটি রোগ, আপনার যদি হায়াত থাকে তাহলে বাঁচবেন। অন্যথায় বাঁচা সম্ভব না। তবে এ রোগ থেকে মুক্ত থাকতে সবাইকে খাবারের ব্যাপারে সতর্ক ও সচেতন থাকতে হবে।
ভূমিমন্ত্রী বলেন, আমরা কিন্তু ফরমালিনযুক্ত খাবার খাই। আমি জানি না এটাকে কেন ফরমালিন বলে। এটি আসলে প্রিজারভেটিভ। বিদেশে এটিকে প্রিজারভেটিভ হিসেবে দেখে। এটি নির্দিষ্ট পরিমাণ পর্যন্ত খাওয়া যায়। উন্নত বিশ্বেও খাবারে নির্দিষ্ট পরিমাণ প্রিজারভেটিভ দেয়। তবে আমাদের দেশে পরিমাণটা একটু বেশি দিয়ে ফেলে।
সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ বলেন, করোনার সময় বিশেষজ্ঞরা ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন, পথে পথে মানুষ মরবে। হাসপাতালে জায়গা দিতে পারবে না। পরিস্থিতি ভয়াবহ হবে। কোটি কোটি মানুষ মারা যাবার আশঙ্কা আছে। আল্লাহর কি অশেষ রহমত, সেরকম কিছু হয়নি। ওই সময় সবার জন্য ভয়াবহ একটি পরিবেশ ছিল। আমি কিন্তু কোনো আতঙ্কে ছিলাম না।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর