প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের সাবেক হাইকমিশনার সাঈদা মুনা তাসনিম ও তার স্বামী জেনারেশন নেক্সট ফ্যাশন লিমিটেডের চেয়ারম্যান তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরীর বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় সংস্থাটির প্রধান কার্যালয়ে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে দুদক চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন এসব কথা জানান। দুদক চেয়ারম্যান বলেন, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা পরস্পর যোগসাজশে জেনারেশন নেক্সট ফ্যাশনসহ ১২টি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ও নামসর্বস্ব ভুয়া প্রতিষ্ঠানের নামে বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান যেমন ইউসিবিএল, ব্যাংক এশিয়া, ইবিএল, সিটি ব্যাংক, ব্র্যাক ব্যাংক, এনবিএল, ট্রাস্ট ব্যাংক, সাউথইস্ট ব্যাংক ও এবি ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে আনুমানিক ২ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করে বিদেশে পাচার করেন। তাদের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগের বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুদক। ড. আবদুল মোমেন বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া অর্থ ও সম্পদের একটি প্রাথমিক তালিকা এবং আদালতের আদেশ সংযুক্ত করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দিয়েছি। যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সি (এনসিএ) খুবই কার্যকরভাবে কাজ করেছে। সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান জাবেদের অনুপার্জিত আয় ও পাচার করা অর্থে কেনা অনেক সম্পদ তারা জব্দ করতে আমাদের সহায়তা করেছে। জাবেদের মোট ৫৮০টি বাড়ির খোঁজ আমরা পেয়েছি। এর মধ্যে ৩৪৩টি যুক্তরাজ্যে, ২২৮টি সংযুক্ত আরব আমিরাতে এবং ৯টি যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত। শুধু যুক্তরাজ্যের ৩৪৩টি বাড়ির আনুমানিক মূল্য প্রায় ৭৩ দশমিক ১৫ মিলিয়ন পাউন্ড, অর্থাৎ বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১ হাজার ২৫ কোটি টাকা। এনসিএ ইতোমধ্যে এই সম্পদ ফ্রিজ করেছে। এ ছাড়া তার প্রায় ২৫ লাখ ডলারের সমপরিমাণ ব্যাংক আমানত (প্রায় ৩৫ কোটি টাকা) ফ্রিজ করা হয়েছে। আরও কিছু দেশে তার সম্পত্তি আছে বলে আমরা জানতে পেরেছি। সেগুলোর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।’ ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগনি ও ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ সিদ্দিকের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘টিউলিপের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা চলমান এবং আরেকটি তদন্তাধীন। তিনি যতই বলুন না কেন তিনি ব্রিটিশ, আমরা যখন আমাদের কাগজপত্র দেখছি, তাকে বাংলাদেশি মনে হচ্ছে। এখন অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে নিজের সুবিধার জন্য কখনো ব্রিটিশ, কখনো বাংলাদেশি বলে পরিচয় দেন। এটা সমীচীন কি না, তা আপনারা বিবেচনা করবেন।’ দুদক চেয়ারম্যান আরও বলেন, পাচার হওয়া টাকা ফেরত আনা একটি জটিল প্রক্রিয়া। এর জন্য এ দেশের আদালতের আদেশ পাঠানো, তারপর ওই দেশে তদন্তের পর সেখানকার আদালতের আদেশ লাগে। এসবের জন্য প্রশিক্ষক প্রতিষ্ঠানের সহায়তার দরকার এবং ওই সব টাকা আনতে কেমন খরচ হবে, তা-ও বিবেচনায় নিতে হয়।
শিরোনাম
- ফিলিস্তিনি ক্ষুধার্ত শিশুর প্রতি ইসরায়েলি নির্মমতা নিয়ে মুখ খুললেন মার্কিন সেনা কর্মকর্তা
- ইরানের আবাবিল ড্রোন : মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কবলে ৫ প্রতিষ্ঠান
- রাশিয়ায় পুতিনের ‘শাসন পরিবর্তনের’ আহ্বান জেলেনস্কির
- ডিসেম্বরে নির্বাচন সামনে রেখে মিয়ানমারে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন
- বাংলাদেশের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক কমিয়ে ২০ শতাংশ
- মাইলস্টোনের পাশে অবৈধ দোকানে অতিরিক্ত দামে পণ্য বিক্রি, ডিএনসিসির অভিযান
- সারা দেশে ৭ দিনে যৌথবাহিনীর অভিযানে আটক ২৮৮
- সীতাকুণ্ডে লরির ধাক্কায় দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
- মাঠে নামার আগেই আলোচনায় মিচেল
- মতিঝিলে সমন্বয়ক পরিচয়ে ভবন দখলের চেষ্টা
- শাহজিবাজার গ্রিডে অগ্নিকাণ্ডে বিদ্যুৎহীন হবিগঞ্জ
- মিথ্যা মামলা ও মব সন্ত্রাস অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে সবচেয়ে দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা : আইন উপদেষ্টা
- কলেরায় মৃত্যুর উচ্চ ঝুঁকিতে আফ্রিকার ৮০ হাজার শিশু: ইউনিসেফ
- জুলাই বিপ্লব কেবল ঘটনা প্রবাহ নয়, দায়িত্ববোধের জাগরণ : আইজিপি
- কিশোরী ধর্ষণে যুবকের যাবজ্জীবন, সন্তানের ভরণপোষণের নির্দেশ
- ডোপ টেস্টে পজিটিভ হলেই প্রার্থিতা বাতিল
- জাতীয় বক্সিংয়ে দেশসেরা জিনাত, আফরার লড়াই প্রশংসিত
- পিআর পদ্ধতিতে সংসদের উচ্চকক্ষ গঠনের সিদ্ধান্ত কমিশনের, আলোচনায় উত্তেজনা
- সারাদেশে পলিথিন ও শব্দ দূষণ রোধে অভিযান, জরিমানা আদায়
- ন্যায়বিচার ও আইনের শাসনকে প্রতিষ্ঠা না করলে গণতন্ত্র টিকবে না: সরোয়ার
সাবেক হাইকমিশনার মুনার বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান
২ হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট ভার্সন

এই বিভাগের আরও খবর