পশুর হাটকে ঘিরে তিন স্তরের নিরাপত্তা পরিকল্পনা নিয়েছে চট্টগ্রামের পুলিশ। পশুর হাটের অজ্ঞান পার্টি, মলম পার্টি অপতৎপরতা রোধ ও জাল টাকা পাচার ঠেকাতে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের পাশাপাশি বড় অংকের টাকা বহনে পুলিশ দেবে বিশেষ সার্ভিস। এমনকি কিছু কিছু থানায় ব্যাংকিং সময়ের পর টাকা জমা রাখার সুযোগও রাখা হচ্ছে।
চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার এস এম রশিদুল হক বলেন, পশুর হাটকে ঘিরে কঠোর নিরাপত্তা পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। এছাড়া কোরবানির সময় গ্রামাঞ্চলের পশু চুরি রোধ করতেও কঠোর অবস্থানে থাকবে জেলা পুলিশ।’
সিএমপি’র মুখপাত্র ও অতিরিক্ত উপ-কমিশনার আরাফাতুল ইসলাম বলেন, ‘নগরীর পশুর হাটগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিতে তিন স্তরের নিরাপত্তা পরিকল্পনা তৈরি করা হয়েছে। পশুর হাট এবং ক্রেতা-বিক্রেতাদের যাতায়াতকে ঘিরে থাকছে আলাদা আলাদা নিরাপত্তা ব্যবস্থ। বড় অংকের টাকা বহনে কেউ নিরাপত্তাহীন ভোগ করলে পুলিশ প্রয়োজনে নিরাপত্তা নিয়ে তাদের গন্তব্যে পৌঁছে দেবে।’
জানা যায়, প্রতি বছর কোরবানির হাটকে ঘিরে সক্রিয় হয় অজ্ঞান পার্টি, মলম পার্টি এবং জাল টাকার পাচার চক্র। কোরবানির পশুর হাটে এ চক্রগুলোর অপতৎপরতা ঠেকাতে নেয়া হয়েছে নিরাপত্তা পরিকল্পনা। জাল নোট পাচার ঠেকাতে প্রতিটি বাজারে বসানো হবে জাল নোট শনাক্তকরণ মেশিন। অজ্ঞান পার্টি ও মলম পার্টির তৎপরতা ঠেকাতে পোশাকদারী পুলিশ সদস্যদের পাশাপাশি থাকছে সাদা পোশাকের সদস্যরা। বড় অংকের টাকা বহনকারীদের জন্যও এবারও থাকবে বিশেষ পুলিশী সেবা। নির্ধারিত কিছু নাম্বারে ফোন করলেও পুলিশ নিরাপত্তা নিয়ে পৌঁছে দেবে নির্ধারিত স্থানে। এমনকি ব্যবসায়ীরা চাইলে ব্যাংকিং সময়ের পর থানার মধ্যেই জমা রাখতে পারবেন টাকা। পশুরহাট দখল-বেখল নিয়ে সংঘাত, খুটি বাণিজ্য এবং চাঁদাবাজি ঠেকাতে জিরো ট্রলারেন্সে থাকবে পুলিশ। পশুর হাটের নিরাপত্তা নিশ্চিতের পাশাপাশি করোনা প্রাদুর্ভাবের মধ্যে পশুর হাটের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সচেতন করতেও কাজ করবে পুলিশ। করোনা সচেতনতা বাড়াতে পশুর হাটে লিফলেট বিতরণের পাশাপাশি বিনামূল্যে বিতরণ করা হবে করোনা প্রতিরোধক সামগ্রী।
ডবলুরিং থানার ওসি মোহাম্মদ মহসিন বলেন, ‘কেউ বড় অংকের টাকা বহনের জন্য সহায়তা চাইলেও পুলিশ সদস্যরা নিরাপত্তা দিয়ে গন্তব্যে পৌঁছে দেবে। এমনকি ব্যবসায়ীরা থানার মধ্যে টাকা জমা রাখতে চাইলে সেটাও পারবে। এক্ষেত্রে জমা দেয়ার আগে টাকা প্যাকেট বন্দি করে সিলগলা করে দিতে হবে।’
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন