চট্টগ্রামে প্রতিদিনই বাড়ছে করোনার সংক্রমণ। করোনার এমন ক্রমবর্ধমান সময়ে সামনে এসেছে কোরবানির ঈদ। কোরবানির ঈদের প্রধান অনুষঙ্গ পশু জবেহ। পশু কেনা হয় হাট থেকে। তাই এখন স্বাস্থ্য বিভাগের নতুন চ্যালেঞ্জ কোরবানির পশুর হাট। পশুর হাটে কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন করা না হলে কোরবানির পশুরহাট করোনা সংক্রমণের বাড়ার শঙ্কা আছে। আগামী ২১ জুলাই পবিত্র ঈদুল আজহা।
জানা যায়, এবার চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এলাকায় ৬টি এবং ১৪ উপজেলায় শতাধিক পশুর হাট বসছে। আর কয়েকদিন পরই পুরোদমে শুরু হবে পশুর হাটে ক্রয় বিক্রয়। স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাজার বসানোর কথা বলা হলেও পশুর বাজারে তা কতটুকু নিশ্চিত করা যাবে এ নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্টরা।
সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, চট্টগ্রামে কারোনা পরিস্থিতি দিন দিন অবনতি হচ্ছে। নগরের সরকারি বেসরকারি প্রায় সব হাসপাতালে রোগী ভর্তি রয়েছে। গত কয়েকদিন সংক্রমণের হার ৩৭ শতাংশে উঠে এসেছে। এই পরিস্থিতির আদৌ উন্নতি হবে কিনা তা আসন্ন ঈদুল আজহার ওপর নির্ভর করবে। ঈদের পর সংক্রমণ নিম্নমুখী রাখাটাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ডা. অনিরুদ্ধ ঘোষ বলেন, দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে হাটে আসবে কোরবানির পশু। তার মানে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষও আসবে। এছাড়া হাটে গরু কিনতে কেউ একা আসেন না। সেক্ষেত্রে কত মানুষ হাটে আসবেন তা সহজেই অনুমেয়। সুতরাং যতই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার নির্দেশনা দেওয়া হোক তা পালন করা কোনোভাবেই সম্ভব হবে না। এটাই শঙ্কার বিষয়।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার