চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসের টিকা প্রদানের সবগুলো কেন্দ্রে মডার্না ও সিনোফার্মের প্রথম ডোজ দেওয়ার কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের কোনো কেন্দ্রে প্রথম ডোজের টিকা দেওয়া হয়নি। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে কিছু টিকা মজুদ থাকায় আজ সীমিত পরিসরে প্রদান করা হয়। শুক্রবার থেকে তাও বন্ধ। তবে কোভিশিল্ডের দ্বিতীয় ডোজ প্রদান সবগুলো কেন্দ্রে চলমান থাকবে। একই সঙ্গে উপজেলাগুলোতে সিনোফার্মের প্রথম ডোজ টিকা আরও কয়েকদিন চলবে।
কিন্তু হঠাৎ করেই টিকার চলমান কর্মসূচি বন্ধ করে দেয়ায় বিপাকে পড়তে হয়েছে প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজের জন্য নিবন্ধনকারী প্রায় ১২ লাখ মানুষ। বন্ধ ঘোষণার পর থেকেই টিকা কেন্দ্রগুলোতে ভিড় করছেন। বিক্ষোভও হয়েছে অনেক কেন্দ্রে। বিশেষ করে নগরের চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল, চমেক হাসপাতাল এবং চসিক জেনারেল হাসপাতালের সামনে টিকা গ্রহীদের ভিড় ছিল দিনভর। আজও ভিড় করে অনেকেই। কিন্তু এ ব্যাপারে পূর্ব কোনো ঘোষণা বা প্রচারণা না থাকায় এসএমএস থাকা অনেককেই দূর-দূরান্ত থেকে কেন্দ্রে এসে ফিরে যেতে হয়েছে।
জেনারেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার থেকে মডার্না ও সিনোফার্মার টিকা প্রদান বন্ধ থাকবে। কিন্তু এসএমএস প্রাপ্তদের এস্ট্রোজেনেকার টিকা বিকেল ৩টা থেকে ৫টা যথানিয়মে দেওয়া হবে। তাছাড়া যারা নিবন্ধন করেও এসএমএস পাননি অথবা এসএমএস ডিলিট হয়ে গেছে, তারা আগামী ২১, ও ২৩ আগস্টের মধ্যে গিয়ে টিকা নিতে পারবেন।
চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এস এম হুমায়ুন কবির বলেন, আমাদের হাতে কিছু টিকা মজুদ ছিল, যা দিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার দেয়া হয়েছে। তবে আজ শুক্রবার থেকে টিকা কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। তবে অ্যাস্ট্রোজেনেকার দ্বিতীয় ডোজ চলবে।
চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আহমেদ তানজিমুল ইসলাম বলেন, জেনারেল হাসপাতালে সাময়িকভাবে মডার্না ও সিনোফার্মের টিকার প্রথম ডোজ বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে অক্সেফোর্ড অ্যাস্ট্রেজেনেকার দ্বিতীয় ডোজের টিকা যথারীতি চলবে। টিকা পাওয়া সাপেক্ষ প্রথম ডোজের কার্যক্রম আবারও চালু করা হবে।
জানা যায়, চট্টগ্রাম নগরে ১১টি কেন্দ্রে চলছে টিকা প্রদান। এগুলো হলো চমেক হাসপাতাল, জেনারেল হাসপাতাল, চসিক জেনারেল হাসপাতাল, চসিক মোস্তফা হাকিম মাতৃসদন হাসপাতাল, চসিক বন্দরটিলা মাতৃসদন হাসপাতাল, চসিক ছাফা মোতালেব মাতৃসদন হাসপাতাল, নৌ বাহিনী হাসপাতাল, বিমান বাহিনী হাসপাতাল, সিএমএইচ হাসপাতাল, চট্টগ্রাম পুলিশ হাসপাতাল ও বন্দর হাসপাতালে। তবে প্রতিদিন সবচেয়ে দীর্ঘ লাইন দেখা যায় চসিক জেনারেল হাসপাতাল, জেনারেল হাসপাতাল এবং চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কেন্দ্রে।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন