চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) নতুন করে কেনা মশার ওষুধ ‘মসকুবা’ ছিটানোর মাধ্যমে ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে ৪১টি ওয়ার্ডে মাসব্যাপী ডোর টু ডোর ক্যাম্পেইন শুরু করেছে। সোমবার সকালে নগরের ৪ নম্বর চান্দগাঁও ওয়ার্ডের আবাসিক এলাকার বি ব্লকের ১১ নম্বর সড়কে চসিক মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে জুম অ্যাপের মাধ্যমে মাসব্যাপী এই ক্যাম্পইন উদ্বোধন করেন।
কাউন্সিলর মো. এসরারুল হকের সভাপত্বিতে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন প্যানেল মেয়র মো. গিয়াস উদ্দিন, বর্জ্য স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি কাউন্সিলর মোবারক আলী, কাউন্সিলর আশরাফুল আলম, কাজী নুরুল আমীন মামুন, চসিক সচিব খালেদ মাহমুদ, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা লুৎফুন নাহার, জোন প্রধান আফিয়া আক্তার, স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট জাহানারা ফেরদৌস, অতিরিক্ত প্রধান হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির চৌধুরী, নির্বাহী প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) মির্জা ফজলুল কাদের ও উপপ্রধান পরিছন্ন কর্মকর্তা মোরশেদুল আলম চৌধুরী প্রমুখ।
এর আগে, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক ও কীটতত্ত্ববিদ চসিকের বর্তমান মশকনিধনে ব্যবহৃত ওষুধ অকার্যকর বলে প্রতিবেদন দেওয়ার পর চসিক নতুন এই মশার ওষুধ ক্রয় করে।
চসিক মেয়র বলেন, নগরবাসীর মতামতের ভিত্তিতে নগর কার্যক্রম পরিচালনা করতে চাই। এজন্য নগরবাসীর সহায়তা প্রয়োজন। এখন আমরা তিনটি সমস্যা নিয়ে রীতিমত যুদ্ধ করছি। সমস্যাগুলো হলো করোনা মহামারি, ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়ার প্রকোপ। তিনটি সমস্যাই জনস্বাস্থ্যের জন্য বড় হুমকি। তবে চট্টগ্রামে এখনো ডেঙ্গু তেমন তীব্র আকার ধারণ করেনি। তবুও আগেভাগে ডেঙ্গুর প্রকোপ যাতে না বাড়ে সে ব্যবস্থা নিতে মাঠে কর্মসূচি শুরু করেছি। এই কার্যক্রমে নগরবাসীর সহযোগিতা প্রয়োজন।
তিনি আরও বলেন, নগরের ৪১টি ওয়ার্ডে আমাদের ১৫০০ আরবান কমিউনিটি ভলান্টিয়ার ডেঙ্গু মোকাবিলায় ডোর টু ডোর ক্যাম্পেইনে নগরবাসীকে সচেতন করতে কার্যক্রম চালাবে। এ কার্যক্রমে নিয়োজিত থাকবে চসিকের পরিচ্ছন্ন সেবক ও কর্মীরা। তবে নগরবাসীকেও আমাদের লোক ও ভলান্টিয়ারদের সহযোগিতা করতে হবে।
মেয়র বলেন, সার্বিক কার্যক্রম তদারকির জন্য চসিকের পক্ষ থেকে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠিত হয়েছে। কমিটির সদস্যরা হলেন-প্যানেল মেয়র মো. গিয়াস উদ্দিন, কাউন্সিলর মো. মোবারক আলী ও উপ-প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মো. মোরশেদুল আলম চৌধুরী।
তিনি বলেন, আমরা কার্যকর মশার ওষুধ ক্রয়ে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের কীটতত্ত্ববিদ ও কর্মকর্তাদের সাথে পরামর্শ ও যাচাই-বাছাই করে নতুন ওষুধ ক্রয় করেছি। এখন নগরবাসীকেও চসিকের পাশাপাশি সচেতন হতে হবে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই