দেশের তিন আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে ‘র্যাপিড টেস্ট ল্যাব’ সুবিধা না থাকায় বিপাকে পড়েছেন সংযুক্ত আবর আমিরাত থেকে ছুটিতে আসা প্রবাসীরা। বাংলাদেশিদের জন্য আমিরাত প্রবেশ দ্বার উম্মুক্ত করলেও শুধুমাত্র বিমান বন্দরে করোনা পরীক্ষার সুবিধা না থাকায় কর্মস্থলে যেতে পারছে না অর্ধ লক্ষ প্রবাসী। যাদের অনেকেরই এরই মধ্যে ভিসার মেয়াদ শেষ হয়েছে কিংবা শেষ হওয়ার পথে। দ্রুত সময়ের মধ্যে বিমান বন্দরে র্যাপিড টেস্ট ল্যাব স্থাপন না হলে অনিশ্চিত হয়ে পড়বে আটকে পড়া প্রবাসীদের আমিরাত যাত্রা।
শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ম্যানেজার উইং কমান্ডার ফরহাদ হোসেন খান বলেন, ‘শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে র্যাপিড টেস্ট ল্যাব চালুর বিষয়ে এখনো কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে যতটুকু জানি শাহ জালাল বিমান বন্দরে প্রাথমিক ভাবে র্যাপিড টেস্ট ল্যাব স্থাপন করা হবে।’
‘অ্যাসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্টস অব বাংলাদেশ’ (আটাব)’র চট্টগ্রাম অঞ্চলের নেতা আবদুল মান্নান বলেন, ‘আমিরাত প্রবাসীদের উল্লেখযোগ্য সংখ্যকই হচ্ছে চট্টগ্রামের অধিবাসী। তাই অগ্রাধিকার ভিত্তিতে চট্টগ্রাম বিমান বন্দরে র্যাপিড টেস্ট ল্যাব স্থাপন জরুরী। দ্রুত সময়ের মধ্যে র্যাপিড টেস্ট ল্যাব স্থাপন না হলে প্রবাসীরা যেমন ক্ষতিগ্রস্থ হবে। একই ভাবে ট্রাভেল ব্যবসায়ীরাও ক্ষতির সম্মুখীন হবেন।’
আমিরাতের বাংলাদেশী কমিউনিটি নেতা ও আটকে পড়া প্রবাসী বেলাল উদ্দিন রনি বলেন, ‘ছুটিতে দেশে আসা অনেক প্রবাসীর ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। অনেকের আবার ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পথে। দ্রুত সময়ের মধ্যে আমিরাতে প্রবেশ করতে না পারলে অনেককে চরম বেকায়দায় পড়বে হবে। অনেকের আবার চীরতরে আমিরাতে প্রবেশের পথ বন্ধ হয়ে যাবে। তাই বিমান বন্দরগুলোতে দ্রুত সময়ের মধ্যে র্যাপিড টেস্ট চালুর দাবি করছি।’
জানা যায়, দেশের করোনা প্রাদুর্ভাবের দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হওয়ার পর ছুটিতে দেশে আসেন কমপক্ষে ৫০ হাজার প্রবাসী। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হওয়ার পর আমিরাত সরকার বাংলাদেশসহ বেশ কিছু দেশের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। প্রায় তিন মাস বন্ধ থাকার পর বাংলাদেশসহ ছয় দেশের প্রবাসীদের জন্য আমিরাতের প্রবেশ দ্বার উম্মুক্ত করে। তবে শর্ত জুড়ে দেয়া হয় ফ্লাইট ছাড়ার ৬ ঘণ্টার মধ্যে র্যাপিড পিসিআর পদ্ধতিতে করোনা পরীক্ষা করে নেগেটিভ রিপোর্টপ্রাপ্ত যাত্রীদের আমিরাতে প্রবেশের অনুমতি দেয়া হবে। বাংলাদেশের কোনো বিমান বন্দরে র্যাপিড পিসিআর ল্যাব না থাকায় ব্যবসায়ী ও শ্রমিকসহ ৫০ হাজার প্রবাসী। যাদের মধ্যে অনেকেরই এরই মধ্যে ভিসার মেয়াদ ও ছুটি শেষ হয়েছে। অনেকের আবার ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পথে। দেশের ঢাকা, চট্টগ্রাম এবং সিলেট বিমান বন্দরে র্যাপিড টেস্ট ল্যাব চালুর দাবিতে আন্দোলন শুরু করেছে প্রবাসীরা। এরই মধ্যে তিন বিভাগীয় শহরে মানববন্ধন করেছেন প্রবাসীরা। আগামী ৬ সেপ্টেম্বর ঢাকায় ফের মানববন্ধন করবে প্রবাসীরা।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল