চট্টগ্রামে করোনা সংক্রমণ এবং মৃত্যুতে স্বস্তি দেখা দিয়েছে। প্রায় একমাস পর চট্টগ্রামে সংক্রমণ দুই ডিজিটে নেমে আসে। শূন্য মৃত্যু চলছে গত এক সপ্তাহ ধরে। এ কারণে সাধারণ মানুষের মধ্যে স্বস্তির নিঃস্বাশ দেখা দিয়েছে। এর আগে গত ২৪ জানুয়ারি দৈনিক নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে চট্টগ্রামে শনাক্তের হার হয়েছিল প্রায় ৪০ শতাংশ এবং একদিনে মারা যান চার জন।
সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রামে পর পর দুইদিন দুই ডিজিটে শনাক্ত হয়। গত শনিবার চট্টগ্রামে নতুন করে মোট ৬৯ জন শনাক্ত হয়। এর মধ্যে মহানগরে ৬১ জন ও ১৫ উপজেলায় ৮ জন। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ২ দশমিক ৯৭ শতাংশ। এ সময় আক্রান্ত হয়ে কেউ মারা যাননি।
রবিবার আক্রান্ত হয় ৭৩ জন। এর মধ্যে মহানগরে ৫০ জন এবং উপজেলায় ২৩ জন। শনাক্তের হার ২ দশমিক ৭৯ শতাংশ। এ সময় কোনো মৃত্যু ছিল না। তাছাড়া গত এক সপ্তাহেও চট্টগ্রামে আক্রান্ত হয়ে কেউ মারা যাননি।
চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. মো. ইলিয়াছ চৌধুরী বলেন, সবার সতর্কতা ও সচেতনতায় সংক্রমণ কমে আসছে। গত দুই দিন দুই ডিজিটে শনাক্ত হয়েছে। একই সঙ্গে মুত্যুও কমেছে। এটা সুখের খবর। তবে এ ধারা অব্যাহত রাখতে হবে। সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে।
পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. হাসানুল করিম বলেন, যেকোনো ভাইরাসের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে মিউটেশনের ক্ষমতা। করোনা ভাইরাসেরও একই বৈশিষ্ট্য রয়েছে। মিউটেশনগুলোকে বিভিন্ন নামে সংজ্ঞায়িত করা হয়। মিউটেশনভেদে এর বৈশিষ্ট্যে ভিন্নতা থাকে। কোনটা বেশি কোনটা কম ক্ষতি করে। ওমিক্রণের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এটি বেশি সংক্রামক, তবে ক্ষতির পরিমাণ তুলনামূলক কম। কিছুদিন পূর্বে ওমিক্রণের ঢেউ দ্রুত ছড়ার ফলে আক্রান্তের পরিমাণ বেড়ে যায়। কিন্তু এটি একজনের শরীর থেকে অন্যজনের মধ্যে ছড়াতে ছড়াতে ভাইরাসটি একসময় দূর্বল হয়ে পড়ে। এ জন্যই এখন আক্রান্তের সংখ্যা কমছে।
জানা যায়, ইতোমধ্যে চট্টগ্রামে মোট আক্রান্ত হন ১ লাখ ২৬ হাজার ৪৬ জন। এর মধ্যে মহানগরে ৯১ হাজার ৬৬০ জন এবং ১৫ উপজেলায় ৩৪ হাজার ৩৮৬ জন। ইতোমধ্যে মারা গেছেন এক হাজার ৩৬২ জন। এর মধ্যে মহানগরে ৭৩৪ জন ও ১৫ উপজেলায় ৬২৭ জন। চট্টগ্রামে সরকারি-বেসরকারি ১৫টি ল্যাবে নমুনা পরীক্ষা চলছে। চট্টগ্রামে প্রথম করোনা শনাক্ত হয় ২০২০ সালের ৩ এপ্রিল এবং আক্রান্ত হয়ে মারা যান ৯ এপ্রিল।
বিডি প্রতিদিন/এএম