সুষ্টু ও নিরপেক্ষ তদন্তের স্বার্থে তিন সংস্থার কাছে চিঠি দিচ্ছে রেলওয়ের গঠিত উচ্চ ও বিভাগীয় পৃথক তদন্ত কমিটি। পৃথক এই তদন্ত কমিটির কাজ কিছু দূর এগিয়ে গেলেও আরও ভাল করে তদন্তে সরেজমিন পরিদর্শনসহ রেলওয়ের দায়িত্বশীল স্টাফদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করবে তদন্ত কমিটি। আজ বুধবার তিন সংস্থার কাছে চিঠি দেয়ার প্রক্রিয়াও শুরু করেছে বলে জানান রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) মো. জাহাঙ্গীর হোসেন।
তিনি বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের স্বার্থে আরও কোনো কিছুর প্রয়োজন হলে স্ব স্ব স্থানে চিঠি দেয়ার প্রস্তুতি চলছে। এতে আইনগত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিআরটিএ, কারাগার, রেলওয়েসহ আরও বিভিন্ন দায়িত্বশীল কর্মচারিদের কাছে চিঠি পৌঁছানো হবে। ইতিমধ্যে দুর্ঘটনার বিষয়ে কিছু কিছু তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে’। এতে দ্রুত সময়ের মধ্যেই তদন্ত রিপোর্ট দিতেও কাজ করছেন বলে জানান তিনি।
রেলওয়ের নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, গত ২৯ জুলাই মিরসরাইয়ে বড়তাকিয়া নামক লেভেল ক্রসিং গেইটের প্রায় এক কিলোমিটার দূরে চলন্ত ট্রেনের সঙ্গে মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই ১১ জনের মৃত্যু এবং আহতের ঘটনায় রেলপথ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ রেলওয়ে পৃথক দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির তদন্তের স্বার্থে উক্ত ঘটনায় দুর্ঘটনা কবলিত মাইক্রোবাসের ফিটনেস এবং মাইক্রো চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স, জাতীয় পরিচয়পত্রসহ সংঘটিত যাবতীয় ঘটনার বিস্তারিতভাবে তুলে ধরার জন্য এসব তথ্য-উপাত্ত খুবই প্রয়োজন। এছাড়া গ্রেফতারকৃত গেইটম্যানকেও জেল গেইটে জিজ্ঞাসাবাদ করবে তদন্ত কমিটি। এসব বিষয়ে জানতে বিআরটিএ, কারাগার, রেলওয়ের দায়িত্বশীল কর্মচারিদের ডাকা হবে। সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের স্বার্থে আরও কোনো কিছুর প্রয়োজন হলে স্ব স্ব স্থানে চিঠি দেয়া হবে।
আরও জানা গেছে, গত ২৯ জুলাই ঘটনার দিনই গঠিত রেলওয়ের উচ্চ ও বিভাগীয় পৃথক তদন্ত কমিটির সদস্যরা তদন্তের কাজ করেছেন। পৃথক কমিটির মধ্যে দায়িত্বে রয়েছেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় তদন্ত কমিটির আহবায়ক বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা (ডিটিও) মো. আনছার আলী। কমিটির সদস্যরা হলেন বিভাগীয় নির্বাহী প্রকৌশলী-১ আবদুল হামিদ, বিভাগীয় মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার (লোকো) জাহিদ হাসান, রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর (আরএনবি) কমান্ড্যান্ট রেজানুর রহমান এবং বিভাগীয় মেডিকেল অফিসার (ডিএমও) মো. আনোয়ার হোসেন। অপরটি হচ্ছে উচ্চ পর্যায়ের কমিটির আহ্বায়ক পূর্বাঞ্চলের এডিশনাল চিফ ইঞ্জিনিয়ার (ট্র্যাক) মো. আরমান হোসেন। অন্যরা হলেন এডিশনাল সিওপিএস জাকির হোসেন, এডিশনাল সিএসটি মো. তুষারসহ ৪ সদস্যের একটি কমিটি।
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার (২৯ জুলাই) মিরসরাইয়ের খৈয়াছড়া এলাকায় ট্রেন-মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনায় ১১ যাত্রী নিহত হন।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা