চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার নোয়াপাড়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মোকামিপাড়া গ্রামের মুহাম্মদ ইউনুসের বাড়ি থেকে কাজী দিদারুল আলম (৫৫) নামের একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে একটি কক্ষের খাটে লুঙ্গি প্যাঁচানো অবস্থায় পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করেন। কাজী দিদারুল আলম মোকামিপাড়া গ্রামের বাসিন্দা শামসুল আলমের ছেলে। পরিবারে তার স্ত্রী ও ছেলে আছে। এক সময় তিনি কাতার প্রবাসী ছিলেন।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে দিদারের ছেলে মিনহাজ বাদি হয়ে চারজনের নাম উল্লেখ করে রাউজান থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। তাছাড়া, ময়নাতদন্ত শেষে বুধবার বিকালে মরদেহ স্থানীয় কবরস্থানে দাফন করা হয়।
অভিযোগ ওঠেছে, দিদারুল আলমের কাছে স্থানীয় মুহাম্মদ ইউনুস ও মুহাম্মদ ইদ্রিস নামে দুইজন ৮ থেকে ১০ লাখ টাকা দাবি করে ২০২১ সালে কয়েকটি চেক প্রতারণা মামলা করেন। এরপরই তিনি স্ত্রী-সন্তান নিয়ে বাড়ি ছাড়েন। প্রায় তিন বছর ধরে তিনি চট্টগ্রাম শহরে থাকছেন। গত শুক্রবার রাতে ইউনুস ও ইদ্রিস দিদারকে ধরে এনে ইউনুসের বাড়িতে আটকে রাখেন। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ইউনুসের পাকা বাড়ির একটি কক্ষের খাট থেকে গলায় লুঙ্গি প্যাঁচানো অবস্থায় দিদারের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহ আল হারুন বলেন, খাটের ওপর গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় লাশটি উদ্ধার করা হয়। পরে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ চমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় গত মঙ্গলবার রাতে দিদারের সন্তান বাদী হয়ে মুহাম্মদ ইদ্রিস, মুহাম্মদ ইউনুস, ফেরদাউস ও আলমগীরের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা দায়ের করেছেন। তবে এখনও কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/এএম