চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন বলেছেন, বাংলাদেশে হাজারো অত্যাচারি অসুরের উদ্ভব হয়েছে। এসব অদ্ভত চক্রগুলো দেশ ও জাতিকে পেছনে নিয়ে যেতে চায়। কিন্তু দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির চাকাকে চলমান রাখতে আমাদের চেতনায় মানবিক গুণাবলির চাষ করতে হবে।
শুক্রবার বিকেলে নগরীর পতেঙ্গা সী বীচে চসিকের ব্যবস্থাপনা ও চট্টগ্রাম মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত প্রতিমা বিসর্জন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বিদ্যালাল শীলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিসর্জন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কাউন্সিলর সালেহ আহমদ চৌধুরী, হাজী জয়নাল আবদীন, শৈবাল দাশ সুমন, সংরক্ষিত ওয়ার্ড কউন্সিলর নিলু নাগ, চসিকের সচিব রশিদ আহমদ, সাবেক কাউন্সিলর বিজয় কুমার চৌধুরী কিষান, তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এয়াকুব নবী। প্রধান বক্তা ছিলেন পূজা উদযাপন পরিষদ কেন্দ্রিয় সাবেক বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাড. চন্দন তালুকদার, স্বাগত বক্তব্য রাখেন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রত্নাকর দাশ টুনু।
মেয়র বলেন, চট্টগ্রামের ভূমিতে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি অটুট আছে। অশুভ শক্তির বিনাশ, ঐক্য ও মহামিলনের প্রতীক এ দূর্গোৎসব যুগ যুগ ধরে সনাতনী ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মাঝে সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির সেতুবন্ধন রচনা করে যাচ্ছে। প্রতি বছর দূর্গোৎসবের মধ্য দিয়ে অসৎ ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে সত্য, সুন্দর ও ন্যায় প্রতিষ্ঠায় প্রেরণা যোগায়।
বিসর্জন অনুষ্ঠানে মেয়র আগ্রাবাদ গোসাইলডাঙ্গা একতা গোষ্ঠী সার্বজনিন দূর্গোৎসব পরিষদকে ১ম পুরস্কার, টেরিবাজার সার্বজনিন পূজা (আফিম গলি) উদযাপন পরিষদকে ২য় পুরস্কার, রাজা পুকুর লেইন মৈত্রী সংসদ পূজা উদযাপন পরিষদকে ৩য় পুরস্কার তুলে দেন। তাছাড়া দক্ষিণ কাট্টলী স্বরস্বতি কুঠির দূর্গা মন্দিরের প্রতিমাকে শ্রেষ্ঠ প্রতিমা, পাথরঘাটা সার্বজনীন পূজা উদযাপন পরিষদকে (গুরখা ডাক্তার লেইন) শ্রেষ্ঠ সাজসজ্জা, মনোহর খালীর পূজা উদযাপন পরিষদ ইকবাল রোডকে শ্রেষ্ঠ আলোক সজ্জার পুরস্কার প্রদান করেন। নগরীর ১৬টি থানা থেকে ১টি করে পূজা মণ্ডপকে বিশেষ পুরস্কার দেওয়া হয়।
বিডি-প্রতিদিন/২৩ অক্টোবর, ২০১৫/মাহবুব