সিলেট নগরীর রায়নগর থেকে ৯ বছরের শিশু আবু সাঈদকে অপহরণ ও পুলিশ কনস্টেবল এবাদুরের বাসায় নিয়ে হত্যার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলা নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার মহানগর হাকিম প্রথম আদালত থেকে মামলাটি ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হয়। এছাড়া আদালতের বিচারক সাহেদুল করিম মামলার অভিযোগ গঠনের তারিখ ৮ নভেম্বর নির্ধারণ করা হয়।
মহানগর পুলিশের সহকারি কমিশনার (প্রসিকিউশন) আবদুল আহাদ চৌধুরী জানান, বৃহস্পতিবার শিশু সাঈদ হত্যা মামলার অভিযোগ গঠনের তারিখ ছিল। আদালত বিচার শুরুর জন্য মামলাটি নারী ও শিশু নির্যাতন ট্র্যাইব্যুনালে স্থানান্তর করে ৮ নভেম্বর চার্জ গঠনের নতুন তারিখ নির্ধারণ করেন।
এর আগে গত ২৩ সেপ্টেম্বর সিলেট মহানগর হাকিম ১ম আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতোয়ালী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোশাররফ হোসাইন।
অভিযোগপত্রে চারজনকে আসামি করা হয়। তারা হলেন: বিমানবন্দর থানার কনস্টেবল (বরখাস্তকৃত) এবাদুর রহমান পুতুল, র্যাবের কথিত সোর্স আতাউর রহমান গেদা, সিলেট জেলা ওলামা লীগের সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম রাকিব ও প্রচার সম্পাদক মাহি হোসেন মাছুম। এর মধ্যে মাছুম পলাতক ও বাকিরা কারান্তরীণ রয়েছেন। ৭ অক্টোবর শুনানি শেষে আদালত অভিযোগপত্রটি আমলে নেন।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ১১ মার্চ সকাল সাড়ে ১১টার দিকে সিলেট নগরীর রায়নগর থেকে স্কুলছাত্র আবু সাঈদকে অপহরণ করা হয়। এরপর ১৩ মার্চ রাত সাড়ে ১০টায় বিমানবন্দর থানার পুলিশ কনস্টেবল এবাদুর রহমান পুতুলের কুমারপাড়াস্থ ঝর্ণারপাড় সবুজ-৩৭ নং বাসার ছাদের চিলেকোঠা থেকে সাঈদের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। গ্রেফতারের পর এবাদুর, গেদা ও রাকিব তিনজনই আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়। তারা সাঈদ হত্যার সঙ্গে নিজেদের সংশিষ্টতার কথা স্বীকার করে।
নিহত আবু সাঈদ রায়নগর হযরত শাহ মীর (র.) সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র ও একই এলাকার দর্জিবন্দ বসুন্ধরা ৭৪ নম্বর বাসার আব্দুল মতিনের ছেলে। তাদের গ্রামের বাড়ি সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার এড়ালিয়াবাজারের খশিলা এলাকায়।
বিডি-প্রতিদিন/ ২৯ অক্টোবর, ২০১৫/ রশিদা