পর্যাপ্ত আসামি আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় সাবেক অর্থমন্ত্রী কিবরিয়া হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ ফের পিছিয়েছে। বৃহস্পতিবার ও গতকাল বুধবার সাক্ষ্যগ্রহণের কথা থাকলেও বেশিরভাগ আসামি অনুপস্থিত থাকায় সিলেট বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মকবুল আহসান সাক্ষ্যগ্রহণ থেকে বিরত থাকেন। পরে বিচারক সাক্ষ্যগ্রহণের নতুন তারিখ ৪ ও ৫ নভেম্বর ধার্য্য করেন।
ট্রাইব্যুনালের পিপি কিশোর কুমার কর জানান, বৃহস্পতিবার আবদুর রউফ ও এরফান আলীসহ তিনজনের সাক্ষ্য দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু পর্যাপ্ত আসামি হাজির না থাকায় বিচারক সাক্ষ্যগ্রহণ করেননি। তিনি জানান, মামলার ৩২ জন আসামির মধ্যে ৮ জন জামিনে, ১৪ জন জেলে ও ১০ জন পলাতক রয়েছেন। কারান্তরীণ ১৪ জনের মধ্যে ৯ জন আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন। তাই বিচারক সাক্ষ্যগ্রহণ না করে নতুন তারিখ ধার্য্য করেন।
এর আগে গত ২১ সেপ্টেম্বর আলোচিত এই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ নির্ধারিত ছিল। কিন্তু ওইদিন বাদিপক্ষ আদালতে সাক্ষীদের হাজির করতে না পারায় বিচারক ৩০ সেপ্টেম্বর সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করেন। ওইদিন আদালতে সাক্ষ্য দেন হবিগঞ্জ-২ আসনের সাংসদ ও হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মজিদ খান। গত ২১ অক্টোবর আদালতে সাক্ষ্য দেন তিন আবদুল মতিন, আবদুল কাইয়ুম ও ঈমান আলী।
প্রসঙ্গত, টানা নয় দফা পেছানোর পর গত ১৩ সেপ্টেম্বর প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যা মামলায় ৩২ জনের বিরুদ্ধে চার্জ (অভিযোগ) গঠন করা হয়। অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, সিসিক’র মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র জিকে গউছ, হরকাতুল জিহাদ নেতা মুফতি হান্নান প্রমুখ।
২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জ সদরের বৈদ্যের বাজারে এক জনসভায় গ্রেনেড হামলায় নিহত হন সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া। হামলায় নিহত হন কিবরিয়ার ভাতিজা শাহ মনজুরুল হুদা, আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুর রহিম, আবুল হোসেন ও সিদ্দিক আলী। এ ঘটনায় হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক আবদুল মজিদ খান হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা দায়ের করেন।
বিডি-প্রতিদিন/ ২৯ অক্টোবর, ২০১৫/ রশিদা