চট্টগ্রাম সরকারি সিটি কলেজে প্রাক প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা চলাকালে জোরপূর্বক কেন্দ্রে প্রবেশ করে প্রশ্নপত্রের ছবি তোলার চেষ্টা করেন নগর ছাত্রলীগের এক নেতা। এতে বাধা দিলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের হাতে লাঞ্চিত হন কেন্দ্রে দায়িত্বরত ম্যাজিস্ট্রেট ও শিক্ষকরা।
এ সময় শিক্ষকরা নগর ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি নোমান চৌধুরীর মোবাইল ফোন জব্দ করে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে জমা দেন। পরে জেলা প্রশাসক মেজবাহ উদ্দিন কেন্দ্রে উপস্থিত হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রিত হয়।
আজ শুক্রবার সকালে এ ঘটনা ঘটে।
জেলা প্রশাসক মেজবাহ উদ্দিন বলেন, ছাত্রলীগের দুইজন নেতা ম্যাজিস্ট্রেট এবং শিক্ষকদের সঙ্গে অশোভন আচরণ করেছে। তাদের সঙ্গে ছিল আরো ২৫-৩০ জন। নোমান নামের একজনের মোবাইল জব্দ করে সদরঘাট থানায় জমা দেয়া হয়েছে। তবে পরীক্ষা শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
নগর পুলিশের সহকারি কমিশনার (কোতোয়ালী) মাঈনুদ্দীন বলেন, শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা কেন্দ্রে ছাত্রলীগ নেতারা প্রবেশ করে প্রশ্নপত্রের ছবি তোলার চেষ্টা করলে শিক্ষক-ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। পরে জেলা প্রশাসকসহ আমরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করি। পরে ছাত্রলীগ নেতার মোবাইল জব্দ করি।
ছাত্রলীগ সিটি কলেজ শাখার সাধারণ সম্পাদক রাশেদ চৌধুরী দাবি করেন, বহিরাগত কিছু অছাত্র ভেতরে ঢুকে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। পরে আমরা গিয়ে ঘটনা নিয়ন্ত্রণে আনি।
শিক্ষক, পুলিশ ও জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা সূত্রে জানা যায়, সকাল ১০টায় পরীক্ষা শুরুর পরই নগর ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি নোমান চৌধুরী এবং কলেজ ছাত্রলীগের এক নেতা কেন্দ্রে প্রবেশের চেষ্টা করেন। পুলিশ একজনকে কলেজের ছাত্র হিসেবে ঢুকতে দিলেও অছাত্র হওয়ায় নোমানকে বাধা দেন। এতে ক্ষুব্ধ হয় নোমান। পরে পুলিশের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে কেন্দ্রে প্রবেশ করেন বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। কেন্দ্রের ভেতরে ঢুকে কলেজের দক্ষিণ ভবনের নিচতলায় হল রুমের পরীক্ষা কেন্দ্রে যান। সেখানে প্রবেশের চেষ্টাকালে শিক্ষকরা বাধা দিলে তাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। ম্যাজিস্ট্রেট আসলে তাঁর সঙ্গেও অশোভন আচরণ করা হয়। এসময় নোমান একজন পরীক্ষার্থীর প্রশ্নপত্র টেনে নিয়ে ছবি তুলতে শুরু করেন। শিক্ষকরা তার মোবাইলটি কেড়ে নিয়ে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে জমা দেন।
বিডি-প্রতিদিন/ ৩০ অক্টোবর ১৫/ সালাহ উদ্দীন