ঢাকার সাভার থানার নাশকাতার মামলার আসামি হাসানের পরিবর্তে টাকার বিনিময়ে জেলহাজতে আছে আবু হানিফ নোমান নামের এক ব্যক্তি। এ বিষয়টি বিচারকের নজরে আনা হলে সোমবার আসামিকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। পরে ঘটনার কথা স্বীকার করে আসামি আবু হানিফ নোমান ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক এস এম কুদ্দুস জামানের কাছে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দেন।
আদালত সূত্র জানায়, জবানবন্দিতে আসমি হনিফ নোমান বলেছেন, আমার বোন জামাই একটি ফৌজদারি মামলার আসামি ছিল। তার নাম নুরুল হক। আমি বেকার। এই মামলার উকিল অ্যাডভোকেট সোহরাব হোসেন আমাকে ফোন করে নিয়ে আসেন। সোহরাব উকিল সাহেবের চেম্বার নাজমা-ল হাউজের নীচতলায়। গত রবিবার নাইট কোচে করে ঢাকায় পৌঁছে অ্যাডভোকেট সোহরাবের সঙ্গে এই মামলাতে আসি। আমাকে উনি বলেন যে, হাসান নাম ডাকলে আমি যেন হাত উচু করে কাঠগড়ায় দাঁড়াই। পরে আগের কথামতো আমি আসামি হাসানের পরিবর্তে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল মামলা নং- ১৩৭/১৫ এ আত্মসমর্পন করি এখন হাজতে আছি। আমি প্রকৃত হাসান নই।
এর আগে চলতি বছরের ১০ অক্টবর রায়হান আহম্মেদ নামের এক আইনজীবী লিখিতভাবে আদালতকে জানান, প্রতারণা ও অন্যায়ভাবে অধিক আর্থিক ভাবে লাভবান হওয়ার জন্য এই মামলার প্রকৃত আসামি হাসানের পরিবর্তে একজন প্রক্সি দিয়ে বর্তমানে কারাগারে আছে। কিন্তু প্রকৃত আসামি হাসান বাহিরে ঘুরাফেরা করিতেছে। সাভার থানা পুলিশ আসামি হাসানের বাড়িতে গিয়ে হানা দিলে এই সমস্ত তথ্য বের হয়ে আসে। তাই বিষয়টি যাচাই করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।
মামলার নথি সূত্রে জানাগেছে, ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে সাভার বাসস্টান্ডের দক্ষিন পার্শ্চের রাস্তায় ককটেল বিস্ফোরণ ঘটনোর অভিযোগে ২০১৩ সালের ৯ নভেম্বর সাভার থানার এস আই মুহাম্মদ জামাল হোসেন বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলা নম্বর-২১(১১)১৩। পরে ঘটনার তদন্ত করে সাভার থানার এস আই মোল্লা সোহেব আলী ১০৮ জনকে আসামি করে চলতি বছরের ২৮ এপ্রিল আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। আসামি হাসান এই মামলার এজাহার ও অভিযোগপত্রভুক্ত আসামি।
বিডি-প্রতিদিন/ ০২ নভেম্বর, ২০১৫/ রশিদা